এসব অটোরিকশার কারণে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচলসহ এলাকাবাসীর চলাফেরা দুঃসহ হয়ে পড়েছে। চালকরা রাস্তায় যেখানে-সেখানে অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করেন। সড়কের ওপরে অঘোষিত স্ট্যান্ড স্থাপন করে রেখেছেন তারা। এজন্য দিনভর যানজট লেগে থাকে ব্যস্ততম এ সড়কটিতে। ফলে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘন্টা। গোবিন্দগঞ্জ শহরের যানজটের জন্য মূল দায়ি সিএনপি, অটো ও রিকশার এলোপাতাড়ি অবস্থান বলে অনেকেই মনে করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহর অংশে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ফলে সংকুচিত হয়ে মহাসড়ক। গোবিন্দগঞ্জে ব্যস্ততম সড়কটিতে অটোরিকশার রাজত্ব। সড়কের পুরোটাই তাদের দখলে। সড়কটির গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরের অংশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্ট্যান্ড বসিয়ে চলছে তাদের রাজত্ব। শহরের উত্তর বাসস্ট্যান্ড থেকে দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার জায়গা জুড়ে সড়কের দুপাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় শত শত অটোরিকশা।
একই অবস্থা গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে। ফলে মূল সড়কে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে কিংবা চলাচল করতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। এমনকি এই অটোরিকশা অনেকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। দিনভর শহরের প্রবেশপথে অটোরিকশার কারণে যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে। সম্প্রতি কয়েকটি দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহি ও পথচারী গাড়ী চাপায় নিহত হয়েছেন।
বাস চালক আবদুল আজিজ বলেন, এসব ছোট ছোট যানবাহন সড়ক জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। হর্ণ বাজিয়েও সহজে তাদের সরানো যায় না। ফলে ৫ মিনিটের রাস্তা পারাপারে অন্তত ২০ মিনিট লেগে যায়। এতে অনেকের কর্মঘন্টা নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ছামিউল আলম রাসু বলেন, এটি মহাসড়ক নয় যেন অটোস্ট্যান্ড। মৃত্যুর ফাঁদ তৈরী হয়ে আছে। অনেক সময় রাস্তায় আড়াআড়ি করে গাড়ী রাখায় মানুষ পারাপারে বড় গাড়ীর চাপায় মৃত্যু হচ্ছে। দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দাবী জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শ গাড়ি চলাচল করে। হাজার হাজার মানুষ এ পথের যাত্রী। সিএনজি অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড ও এলোপাতাড়ি চলাচল এবং যাত্রী উঠানামার কারণে এসব মানুষের দুর্ভোগ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। অথচ প্রশাসন অবৈধ স্ট্যান্ড সড়ানোর জন্য কোন উদ্যোগই নিচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (এডমিন) শাহ আলম বলেন, যানজট নিরসনে থানা চার মাথায় ট্রাফিক পুলিশ কাজ করে যাচ্ছেন। যানজট নিরসনে দ্রæততম সময়ে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ যৌথভাবে কাজ করা হবে।
জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, যানজট নিরসনে দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, এটি আসলে হাইওয়ে পুলিশের কাজ। তারপরও সড়কের ওপর সিএনজি অটেরিকশা দাঁড় করিয়ে রেখে চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি যেন না হয় সেজন্য হাইওয়ে পুলিশ চাইলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।