
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য জামিরন বেগমের বিরুদ্ধে ঈদ উপলক্ষে হতদরিদ্রের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভিজিএফ কার্ডধারী সুবিধাভোগীরা অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২২ মার্চ) উপজেলার ১৭নং ইমাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এলাকার হতদরিদ্রদের মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কার্ডের চাল (প্রতি কার্ডে ১০ কেজি) করে বিতরণ করা হয়। এতে ইউপি সদস্য জমিলা বেগম ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের জন্য ২০০ টি ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ করার জন্য ইউপি কার্যালয় থেকে বরাদ্দ পান। এর মধ্যে ১০০টি কার্ডের চাল তিনি বিতরণ না করে বাড়িতে নিয়ে যান। কার্ডধারীরা ইউপি চত্বরে সারাদিন বসে থাকার পর চাল না পেয়ে ওই ইউপি সদস্যকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, এবারে সব চাল শেষ হয়ে গেছে। পরের ঈদে দেওয়া হবে।
এদিকে তিনজন কার্ডধারী তার বাড়িতে গেলে ওই ইউপি সদস্য তিনটি কার্ডের তিন কেজি করে মোট ৯ কেজি চাল দেন। যেখানে প্রতি কার্ডে ১০ কেজি চাল বরাদ্দ থাকার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জামিরন বেগম জানান, চাল বিতরনের দিন পরিষদে কোন কার্ডধারী না থাকায় আমি চালগুলো বাড়িতে নিয়ে এসে বাসা থেকে বিতরণ করেছি। এছাড়া ওখানে যে লেবাররা ছিল তারাও তো ১ বস্তা চাল নিয়ে গিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাল না পাওয়া কয়েকজন হতদরিদ্র জানান, আমাদের কার্ড থাকা সত্ত্বেও চাল পেলাম না। পরিষদে গিয়ে জানতে পারি সব চাল জমিলা মেম্বার বাড়িত নিয়ে গেছে। ওনার বাড়িতে দুইবার চাল নিতে গিয়েছিলাম। চাল থাকা সত্ত্বেও বলছে কোন চাল নাই। আমাদের কিছু করার নাই। কারণ প্রতিবাদ করলে জেলে যেতে হবে। এখন ওদের অনেক পাওয়ার। ভিজিএফ কার্ডের সুবিধাভোগী আনজু আরা বেগম বলেন, চাল তো থাকার কথা ইউনিয়ন পরিষদে। সেখানে কীভাবে তার বাড়িতে চাল নিয়ে যায়। এখনো অনেক লোক চাল পায় নি। এগুলো সব আত্নসাত করেছেন ইউপি সদস্য জমিলা। আমরা সরকারের কাছে এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে ইমাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি যে এটি করেছেন আমরা কেউই জানি না। আমি তখন মিটিংয়ে ছিলাম। একটু আগেই শুনলাম বিষয়টি।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণ জানান, ভিজিএফ চালের বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Related