
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার একাধিক মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মের তোয়াক্কা না করে এসএসসি ও সমমনা পরিক্ষাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দুপুরেই শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়ায় বন্ধ রাখা হচ্ছে নিয়মিত ক্লাস। এতে অভিভাবক ও সচেতন মহলের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। রবিবার (৪ মে) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কোলকোন্দ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, কোলকোন্দ তাকিয়া শরীফ আলিম মাদ্রাসা, আব্দুল ছামাদ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বড়বিল দ্বি – মুখী উচ্চ বিদ্যালয় , বাগপুর মাছুম আলী উচ্চ বিদ্যালয়, বড়াইবাড়ি দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গজঘণ্টা হাইস্কুল এন্ড কলেজ, এলাকার প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুপুর ১টার মধ্যেই ফাঁকা হয়ে গেছে। ক্লাসরুমে তালা ঝুলছে।
প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দাবি, এসএসসি পরীক্ষার কারণে শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, সব শিক্ষক পরীক্ষার হলে দায়িত্বে না থাকলেও নিজেদের দোষ এড়াতেই এমন অজুহাত দেখাচ্ছে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। আবার অনুমতি ছাড়া আগেভাগে ছুটি দেওয়া হচ্ছে, যা শিক্ষা অধিদপ্তরের স্পষ্ট নির্দেশনারও লঙ্ঘন। বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষাকালীনও সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্লাস চালু রাখতে হবে এবং পরীক্ষায় যুক্ত নন—এমন শিক্ষকদের দিয়ে ক্লাস পরিচালনার নির্দেশ রয়েছে।
স্থানীয় অভিভাবক মশিউর রহমান বলেন, “সন্তানদের শিক্ষার স্বার্থে বিদ্যালয়ে পাঠালেও তারা দুপুরেই বাড়ি ফিরে আসে। এভাবে চললে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, “সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আগেভাগে ছুটি দেওয়া দুঃখজনক। দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সচেতন মহলের দাবি, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিবর্তনশীল বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন অনিয়ম আমাদের হতাস করেছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা অর্জন নির্বিঘ্ন হয়, শিক্ষার্থীদের যেন ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয় ।
Related