


এনসিপির যুগ্ন আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ বলেন, জামায়াত পিআর নির্বাচন চাচ্ছে, এনসিপি একই জিনিসটি চায় না। এনসিপি চায় উচ্চকক্ষে পিআর নির্বাচন হোক, কিন্তু নিম্নকক্ষে নয়। জামায়াত চায় উচ্চ ও নিম্নকক্ষ দুই জায়গাতেই পিআর নির্বাচন হোক। বিএনপিও উচ্চকক্ষের পক্ষে ভেটো দিলেও তারা নমনীয় অবস্থানে আছে। তবে নিম্নকক্ষের ক্ষেত্রে এনসিপি মনে করে ফ্যাসিবিলিটি নেই।
আমার ধারণা, উচ্চকক্ষ নিয়ে কমিশনে মোটামুটি সবাই একমত হয়েছেন। জামায়াত এখন উচ্চকক্ষের বিষয়ে স্ট্যান্ডবাজি করছে, কিন্তু তাদের আন্দোলন নিম্নকক্ষকে কেন্দ্র করে। সবাই মনে করে উচ্চকক্ষের নির্বাচনটাই হওয়া দরকার। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্যও উচ্চকক্ষ এখন সবচেয়ে জরুরি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যেভাবে উচ্চকক্ষ চাচ্ছে, সেটি আসনভিত্তিক, যত আসন পাবে, সে অনুযায়ী প্রতিনিধিত্ব। কিন্তু আমরা চাই ভোটের শতাংশের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন হোক। আমরা এমন একটি জায়গা তৈরি করতে চাই যেখানে সবাই মিলেমিশে একত্রে কাজ করতে পারবে। শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মুনস্টার রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ। তিনি আরও বলেন, লালমনিরহাটের তিনটি আসনে আমরা কাজ করছি। সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা চলছে। এই মাসের শেষের দিকে প্রতীক পাওয়ার পর কেন্দ্র থেকে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করব।
সারাদেশে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে, আমরা শিগগিরই এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব। জামায়াত ও বিএনপির প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি এখনো প্রার্থীদের প্রান্তিক ঘোষণা দেয়নি, যদিও অনেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াত ৩০০ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে, কিন্তু তারা বলেছে জোট হলে ১০০ আসন ছেড়ে দেবে। অর্থাৎ তাদের ঘোষণাও চূড়ান্ত নয়। তারা প্রচারণা চালাচ্ছে জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য। আমরাও তরুণ ও সৎ ইমেজের প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে চাই, যাতে জনগণের আস্থা অর্জন করা যায়।
লালমনিরহাটের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা এখানে এসেছেন, কেউ কেউ কিছু প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তবে আমরা এখনো কোনো এমপি নই। অভ্যুত্থানের শক্তি ও জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা সরকারের কাছে আবেদন করতে পারি, যেমন লালমনিরহাটের পরিত্যক্ত বিমানবন্দর চালুর দাবি করেছি। গাইবান্ধা ও রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন দাবিও আমরা সরকারের কাছে পেশ করেছি। আমাদের এমপি বা মন্ত্রী না থাকলেও আমরা জনগণের পক্ষে আবেদন জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, মানুষ ভাবে এনসিপি এখন পাওয়ারে আছে, তাহলে অন্য দলগুলোও ক্ষমতায় আছে,কিন্তু তা ঠিক নয়। আমরা জনগণের দাবির পক্ষেই কাজ করছি। এনসিপি জনগণের অভ্যুত্থানের শক্তি হিসেবেই কাজ করছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলার এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী রকিবুল হাসান, যুগ্ম সমন্বয়কারী শাহ সুলতান নাসির উদ্দিন নাহিদ, আখলাক আলী রকি এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত নেতা-কর্মীরা।