


দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বাণিজ্যিক ভাবে পেঁপে চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। পুষ্টিগুনে ভরপুর এ ফসলের আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাল দাম ও ভাল ফলন হওয়ায় আগে বসতবাড়ীর আশেপাশে উঠানে অল্প পরিসরে পেঁপের আবাদ হলেও এখন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ভাবে পেঁপের চাষ শুরু হয়েছে। উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের বামনগড় গ্রামের কৃষক মোখলেছার রহমান বলেন- আগে তিনি ধান ও সবজি চাষ করলেও ২০২৪ সালের জুন মাসে কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রথমবারের মতো তার দেড় বিঘা জমিতে টপলেডি জাতের পেঁপে চাষ শুরু করেন ।
চারা রোপণের তিন মাসের মাথায় তার গাছে কাঁচা পেপের ফলন আসে। ৬ মাস পর পেঁপে পাকতে শুরু করে। প্রতিটি পেঁপে প্রায় দেড় থেকে দু কেজি ওজন। তার প্রতিটি গাছে প্রায় ৮০ থেকে ১শ কেজি পেঁপের ফলন হয়েছে। চাহিদা ভাল থাকায় বাগান থেকেই কিনে নিয়ে যায় ক্রেতারা। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় দুই লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। আরও প্রায় ২ লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করার আশা করছেন। অন্য ফসলের চেয়ে কম খরচে বেশি ভাল লাভ হওয়ায় তিনি আরও কয়েক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
ভাল ফলন ও ভাল লাভ হওয়ায় মোকলেছারের মত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ভাবে এ ফলের চাষ করছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কেরামত আলী বলেন- বর্তমানে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে প্রায় ১২ হেক্টর জমিতে টপলেডি, শাহী জাত সহ বিভিন্ন জাতের পেঁপে চাষাবাদ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। পাশাপাশি দেয়া হচ্ছে পরামর্শ। কৃষকদের আগ্রহ ও বাজারদর ভালো থাকায় আগামী বছর এ ফসলের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।