


গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জনতার হাতে আটক পুলিশ কনস্টেবল ইমরুল কায়েসকে (৩৪) বিয়ে দেয়া হয়েছে জনৈক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে আপত্তিকর অবস্থায় ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে আটক করেন স্থানীয় জনতারা। ঘটনাটি উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী বসুনিয়াটারী গ্রামে ঘটেছে। রাতে আটকের পর শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই গৃহবধূর সঙ্গে কনস্টেবলের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। পুলিশ কনস্টেবলের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মালিবাড়ি গোবিন্দপুর গ্রামের মো. লুৎফর রহমান ছেলে। বর্তমানে তিনি রংপুর মেট্রোতে কর্মরত আছেন। তার বিপি নং ৯০১১১৩৭৮২২।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই পুলিশ কনস্টেবল এ বাড়িতে যাতায়াত করেন। এ নিয়ে একাধিক বার ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে বলাও হয়েছে। কিন্তু তিনি অস্বীকার করেছেন এবং এ নিয়ে সবার সাথে খারাপ আচরণও করেছেন। এমনকি নিজের শ্বশুর শ্বাশুড়ির সাথেও। প্রবাসীর স্ত্রীর জানান তার নাকি আত্নীয় হন ওই পুলিশ কনস্টেবল। পুলিশ কনস্টেবলের অবাধে এ যাতায়াতকে নেনে নিতে পারেননি এলাকাবাসী। সে কারণে ঘটনার রাতে তারা পাহারা দিয়ে আটকে দেন ওই পুলিশ কনস্টেবলকে। তাদের উভয়ের সংসারে সন্তান আছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. সুমন মিয়া (৩২) বলেন, পুলিশ সদস্য গত শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে মেয়ের শয়ন ঘরে ঢোকে। সাড়ে ১০ টার মধ্যে খাওয়ার দাওয়া শেষ করেন। রাত ১১ টার দিকে খারাপ কাজ শুরু করেন। তখন আমারা তাদের ডাক দেই। ঘরে ঢুকে দেখি ছেলে ড্রেসিং টেবিলের কাছে লুকিয়ে আছে। পরে আমরা ছেলে-মেয়েকে বেঁধে রাখি।
ওই ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আতোয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। দরজা খুললে দেকি পুলিশ সদস্য লুকিয়ে আছেন ড্রেসিং টেবিলের কাছে। এ সময় ছেলের শরীরে স্যান্ডো গেঞ্জি ছিলো।’
এ বিষয়ে কথা হয় কাজী মো. হামিদুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, ‘ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি বহুলোক। পরে একটা তালাক নামা করা হয়। অর্থাৎ প্রবাসীর স্ত্রীর তাঁর স্বামীকে তালাক দেন। পরে নতুন করে পুলিশ কনস্টেবলের সাথে প্রবাসীর ওই স্ত্রীর বিয়ে দিতে চাইলে আমি অস্বীকার যাই। শেষে উপস্থিত জনতার চাপে ছেলে ও মেয়ের স্বাক্ষর নেই কাবিননামায়।’
মধ্যস্থতাকারীর একজন মো. শামসুজ্জামান প্রামানিক তনু। তিনি বলেন, ‘উভয়পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে প্রবাসীকে তালাক দেন তার স্ত্রী। পরে আটক পুলিশ কনস্টেবলের সাথে প্রবাসীর স্ত্রীর বিয়ে দেয়া হয়। এরপর কনস্টেবল নতুন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান।’
এ বিষয়ে কথা হয় থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল হাকিম আজাদ এর সাথে। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ থানায়ও আসেনি।’