


রংপুরের পীরগঞ্জ থানায় মিঠাপুকুরের বৈরাতি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এক এএসআইসহ ২ পুলিশ সদেসস্যের নামে সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। উপজেলার পাঁচগাছী ইউপির বাসিন্দা ইসলাফিল হোসেন এই সাধারন ডায়রী করেন। জিডি নং ১৫২৩ তারিখ-২৫ অক্টোবর। এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ অক্টোবর মিঠাপুকুরের বৈরাতি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত এএসআই (নিরস্ত্র) আজিজুল ইসলাম, ও কনস্টেবল আলমসহ ৪/৫জন বিকেলে সাদা পোশাকে পীরগঞ্জ থানার আমোদপুর খামারপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে আদম মিয়ার বাড়িতে গিয়ে আদম ও তার ছেলেকে খুঁজতে থাকে।
আদমের স্ত্রী শেফালী বেগম জানান তিনি বাড়িতে নেই। এ সময় তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে শিপুল মিয়া (১৮),তাদের পরিচয় জানতে চাওয়ায় তারা ধমক দিয়ে জানায় আমরা পুলিশ, মিঠাপুকুর থানা থেকে এসেছি। তোর নামে মামলা হয়েছে। তুই এখন থানায় যাবি আমাদের সাথে। তখন শিপুল মিয়া এএসআই আজিজুল ও তাহার সঙ্গীয় ফোর্সের নিকট জানতে চায় আমার নামে কে মামলা করেছে ? মামলার কাগজ/গ্রেফতারী পরোয়ানা দেখান ? আপনারা পুলিশ তার প্রমান কি ? আপনাদের সাদা পোষাকে কেন ? শিপুল আরো জানতে চায় আপনার কোন থানার পুলিশ ? শিপুলের এসব কথায় এএসআই আজিজুল ক্ষিপ্ত হয়ে মহিলাদের সামনে তাকে অশ্লিলভাষায় গালি দিয়া বলে তুই আমাকে আইন শেখাতে এসেছিস ? শিপুল তার মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করতে থাকলে এএসআই আজিজুল তাহার সংঙ্গীয় কসস্টেবল জোরপূর্বক মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে আটকের চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। এ সময় শিপুল তাহার হাত, পা, চোখে ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। এক পর্যায়ে এএসআই আজিজুল তাহার সংঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় মো. শিপুল মিয়ার বুকে লাথি ও ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে শিপুল অচেতন হয়ে পড়ে। বাড়ির লোকজন আহত অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এলাকাবাসী পুলিশের নিকট শিপুলকে মারধর করার কারন জানতে চাইলে এএসআই আজিজুল ইসলাম সবাইকে মামলায় জড়িয়ে দেয়া ও গুলি করার হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে নৌকাযোগে দ্রুত চলে যায়। বিষয়টি মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জকে মোবাইল ফোনে অবগত করা হয়েছে। পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, মিঠাপুকুর থানার অন্তগর্ত বৈরাতি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত দুইজনের নামে এই থানায় সাধারন ডায়েরী হয়েছে।