


গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসবপুর দ্বি-মুখি ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মুহা. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদে এই সুপারের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রোববার প্রতিষ্ঠানটি সামনে রাস্তায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, মশিউর রহমান, অভিভাবক রায়হান মিয়া, কানন মিয়া, ছাদেকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য ফিরোজ কবির, নুরুল আমিন, রাকিব মিয়াসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, ইসবপুর দ্বি-মুখি ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপারিনটেনডেন্ট পদে মুহা. রেজাউল করিম যোগদান করার পর থেকে নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছে।
এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষক মনজুরুল ইসলামসহ আরও একাধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ দিয়ে লাখ লাখ টাকা তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে সেই শোকজ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ অক্টোবর মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গোপনে গঠন করেছেন এই সুপার রেজাউল করিম। সেখানে তার শ্যালক মনজুরুল ইসলামকে সভাপতি বানিয়েছেন। অথচ এই মনজুরুলের বাড়ি মাদ্রাসা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কামারপাড়ার হাটবামুনী গ্রামে। সামনে একাধিক পদে নিয়োগ বাণিজ্যের লক্ষ্যে গোপন কমিটি গঠন করেছে বলে বক্তাদের দাবি।
সেইসঙ্গে অভিযুক্ত সুপারের ছেলে তানভীরল ইসলামকে ২০২৫ সালে একইসাথে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থী দেখিয়ে প্রক্সির মাধ্যমে তাকে পাস করিয়ে নিয়েছে। আর এই ছেলেকে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছে এই সুপার। আর এসব ঘটনার পর থেকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অভিযুক্ত সুপার রেজাউল করিম প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত আছেন।
এ বিষয়ে ইসবপুর দ্বি-মুখি ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মুহা. রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সহ-সুপার খাইরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয়টি জানা নেই। সহকারী শিক্ষক মাসুদার রহমান মাসুদ বলেন, আমার স্বাক্ষর জাল করে ওই সুপার কমিটি গঠন করেছেন।