রংপুরের বদরগঞ্জের কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীবের বিরুদ্ধে, স্কুল সংস্কার বরাদ্দের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। গেল বছর স্কুল সংস্কার ও মেরামত করার লক্ষ্যে মোটা অংকের বাজেট নেন আহসান হাবীব, কিন্তু বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে স্কুল সংস্কার না করে পুরো বাজেটের টাকা আত্নসাৎ করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে নাগেরহাট পদাগঞ্জ রোডে স্থানীয় জনতা ও ছাএ সমাজের আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন হয়। কর্মসূচিতে জনতা ও ছাএ সমাজ কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন।
স্কুলের নতুন ভবনের প্রাচীর ফাটল, ক্লাস রুম অগোছালো, ক্লাস রুমের ফ্যান নিজের বাড়িতে ব্যবহার , পুরাতন বিল্ডিংয়ে রং ও মেরামত না করা ,খেলার সামগ্রী লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেন। অনেকের অভিযোগ স্কুলের ব্যবহার করার জন্য যে ল্যাপটপ ও প্রেজেক্ট দেওয়া হয়েছিলো তা স্কুলের কাজে ব্যবহার না করে ল্যাবটপ ও প্রজেক্টর নিজের বাড়িতে ব্যবহার করেন। ফলে ডিজিটাল ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, উন্নয়ন তহবিল থেকে টাকা ৭০০০০ হাজার, চক ডাষ্টার বাবদ ৬ মাস পর পর ১৮০০০ টাকা পান প্রধান শিক্ষক। কিন্তু উন্নয়ন তহবিলের টাকার কোন কাজই করেননি তিনি।
স্থানীয় শিমুল নামে একজন বলেন, আলমারি বিক্রয় করেছে প্রধান শিক্ষক, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের থেকে প্রতি সার্টিফিকেট বাবদ টাকা নেয়া হয় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, এছাড়া সব থেকে বড় কথা ওয়াশ ব্লকের মোটর বিক্রয় করেছে প্রধান শিক্ষক। যার ফলে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে পানি খেতে পারেন না।স্থানীয় দীপক গুপ্ত অভিযোগ করে বলেন, নষ্ট হওয়া ফ্যান বিক্রয় করেন প্রধান শিক্ষক কিন্তু সেই টাকা কোথায়? দুই মাস থেকে টিউবওয়েল নষ্ট সেটা কি প্রতিষ্ঠার প্রধানের চোখে পড়ে না।
সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার এসব বিষয়ে সত্যতা পান কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তারা জানান, আমরাও এ বিষয়ে সাথে একাত্বতা প্রকাশ করছি, আমরা চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দূর্নীতি ও অনিয়ম থেকে মুক্ত হউক। স্কুলের সবকিছুই প্রধান শিক্ষক নিজের বাড়িতে ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে কথা বলতে প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোন উওর পাওয়া যায় নি।