1. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. [email protected] : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
বন্ধ বিধবা ভাতা, জীবিত থেকেও মৃত আলেয়া বেগম! | দৈনিক সকালের বাণী
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

নিজের মরার খবর জানেন না তিনি: বন্ধ বিধবা ভাতা, জীবিত থেকেও মৃত আলেয়া বেগম!

ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৮৩ জন দেখেছেন
বেঁচে থেকেও মরা আলেয়া বেগম
বেঁচে থেকেও মরা আলেয়া বেগম
আলেয়া খাতুনের স্বামী মারা গেছেন প্রায় পাঁচ বছর হলো। স্বামী মৃত্যুর পর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় তার নামে বিধবা ভাতার তালিকাভুক্ত হয়। প্রায় দেড় বছর মোবাইল ব‍্যাংকিং এর মাধ‍্যমে তিনি ভাতার টাকা তুলেছেন।

কিছুদিন আগে হঠাৎ তার মোবাইলে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়। এবিষয়ে স্হানীয় চেয়ারম্যান – মেন্বারদের কাছে ঘুরেও কোন ফল পায়নি আলেয়া।পরে  ভূরুঙ্গামারী  উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার নাম মৃতদের তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হওয়ার কারণে ওই নারীর বিধবা ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা সমাজ সেবা অফিস। মৃত জানতে পেরে হতবাক হয়ে পড়েন ওই বিধবা নারী।

আলেয়া খাতুন উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের স্ত্রী। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৪৯১০৬৪৭৪৫০৮৬২। জন্ম তারিখ  ১৪ নভেম্বর ১৯৫৯। স্বামী মৃত্যুর পর তার জীবন জীবিকা চালানোর একমাত্র আয় ছিল ওই বিধবা ভাতার টাকা। দীর্ঘদিন থেকে টাকা না পেয়ে  তিনি হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন।

আলেয়া বলেন, দীর্ঘদিন থেকে স্বামী মারা গেছেন। বিধবা ভাতাভোগী হিসেবে তিন মাস পর পর ভাতার টাকা মোবাইলের উত্তোলন করে আসছি। হঠাৎ ভাতার টাকা আমার মোবাইলে আসা বন্ধ হওয়ার কারন জানতে অফিসে এসে জানতে পারি আমি মৃতদের তালিকায়। এতে আমি হতাশ।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে বয়স্ক  ভাতা ১৩ হাজার ৮৬৪ জন। বিধবা  ভাতা ৭ হাজার ৬৪১জন ও প্রতিবন্ধী  ৬ হাজার ৮০৭ জন।প্রতি তিনমাস পরপর ভাতাভোগীদের মোবাইলে তাদের প্রাপ‍্য সন্মানী ভাতার টাকা বিতরন করা হচ্ছে।

চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস‍্য মুকুল হামিদ বলেন আলেয়া খাতুন এখনো জীবিত আছেন। তবে কি কারনে তার ভাতা বন্ধ আছে তা তিনি খোঁজ নিবেন।

চরভূরুঙ্গামারী ইউপি চেয়ারম্যান মানিক উদ্দিন আলেয়া খাতুনের জীবিত থাকার সত‍্যতা নিশ্চিত করে বলেন তার নামে কোন মৃত্যু সনদ উপজেলা সমাজ সেবা দেননি। তবে এমন হয়ে থাকলে  বিষয়টি সমাধানের ব‍্যাবস্হা করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী  উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শামসুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের তালিকা অনুযায়ী তার ভাতা মৃত্যু তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। ভাতাভোগী মৃত্যুর তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হলে সেটা এই মূহুর্তে  সফটওয়্যারে জীবিত অপশনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছেনা।কারন সফটওয়্যারে মৃত্যু থেকে জীবিত করার অপশন এখনো চালু না থাকায় এই ধরনের সমস‍্যা হচ্ছে। তবে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই এর সমাধান পাওয়া যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )