কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গাপুজা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ভাবে উদযাপন নিশ্চিত করার লক্ষে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসক। গত এক সপ্তাহ ধরে জেলা শহরসহ প্রতিটি উপজেলার দূর্গা মন্দিরের নিরাপত্তায় পোশাকে পুলিশের উপস্থিতি ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যহত রাখা হয়েছে পাশাপাশি স্টান্ডবাই টিম, মোবাইল টিমসহ বিশেষ কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
৯ অক্টোবর বুধবার মহাষষ্ঠীর দিবাগত রাত ১২ টায় ফুলবাড়ী উপজেলার শারদীয় দূর্গাপুজা ২০২৪ এর নিরাপত্তা তদারকি ও বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক মোছা : নুসরাত সুলতানা ও কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান । এ সময় সাথে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি, এনএসআই ও আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। উপজেলার নাওডাঙ্গা জমিদারবাড়ী, বালারহাট কেন্দ্রীয় সার্বজনীন মন্দির ও ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দূর্গা মন্দির কমিটির লোকজনদের সাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ফুলবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক ভারত চন্দ্র রায়, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনীল চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি নরেশ চন্দ্র রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র রায়, অমল চন্দ্র রায় ও ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র নাথ রায়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ভারত চন্দ্র রায় ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনীল চন্দ্র রায়, এ বছর উপজেলায় ৬৮ টি পূজা মন্ডপের মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসব শান্তির্পূণ ভাবে শারদীয় দূর্গা উৎসব চলছে। আশা করছি অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও শান্তিপূর্ণ ভাবে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা : নুসরাত সুলতানা ও পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, ফুলবাড়ী উপজেলাসহ জেলা জুড়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন করবে। আমরা মন্দির পরিদর্শন করে মন্দির কমিটি ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেছি। ঠিক একই ভাবে জেলার ৯ উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জগণ উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি মন্দিরে পরিদর্শনসহ মন্দিরের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবরসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে মতবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। শারদীয় দূর্গা পূজা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে সম্পন্ন করণে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
Related