নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় উর্ত্তীণ এক শিক্ষার্থীর প্রশংসাপত্র দিয়ে তাঁর অভিভাবকের কাছ থেকে পাঁচশত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে । উপজেলার কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক অহিদুল ইসলাম ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বিদ্যালয় থেকে প্রশংসাপত্র দিতে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) তাঁর টাইমলাইনেও তুলে ধরেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, এবারের (২০২৪ সাল) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় উপজেলার কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মো. নুর ইসলাম অপু নামের এক শিক্ষার্থী উর্ত্তীণ হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় তাঁর রোল নম্বর ৮০৬০৬৬ এবং রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১৭১৭৭০১০৬৬। বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. অহিদুল ইসলাম উপজেলার এক নম্বর কামারপুকুর ইউনিয়নের দক্ষিন অসুরখাই গ্রামের বাসিন্দা এবং কামারপুকুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য। অভিভাবক অহিদুল ইসলাম গতকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে তাঁর ছেলে নুর ইসলাম অপুর এসএসসি পরীক্ষা পাশের প্রশংসাপত্র তুলতে কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যান।
এ সময় বিদ্যালয় থেকে তাঁর কাছে পাঁচ টাকা দাবি করা হয়। তিনি প্রশংসাপত্রের জন্য এতো বেশি টাকা কেন বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চান। এ সময় তাকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয় আমাদের রেজুলেশন করা আছে, পাঁচ শত টাকা না হলে প্রশংসাপত্র দেয়া হবে না। এ অবস্থায় অনেকটা নিরুপায় হয়ে পাঁচশত টাকা দিয়ে প্রশংসাপত্র নিতে বাধ্য হন ওই শিক্ষার্থী অভিভাবক। অবশ্য বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা পাশের প্রশংসাপত্রের জন্য ওই অভিভাবকের কাছ থেকে আদায়কৃত পাঁচ টাকার একটি রশিদ প্রদান করা হয়েছে।
এ নিয়ে সৈয়দপুর কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিনুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় এ প্রতিনিধির। তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে রেজুলেশন করা রয়েছে। সে রেজুলেশন অনুযায়ী বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ডের জন্য এসএসসি পরীক্ষা পাশের প্রশংসাপত্র দিতে রশিদের মাধ্যমে পাঁচ শত টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।