সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার পূর্বক তিরস্কার দন্ড- প্রদান পত্রটি বৃহষ্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পত্রানুযায়ী জানাযায়, এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির চুড়ান্ত সভায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমান অভিযোগ সর্ম্পকে ভূল স্বীকার ও শেষবারের মত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তিতে তিনি অনুরুপ অপরাধ বা প্রতিষ্ঠান বিরোধী বা চাকুরীবিধি পরিপন্থী কোন কার্যকলাপ না করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিরস্কার দন্ড- প্রদান করে ক্ষমা প্রদান করার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, যৌন হয়রানীর অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলেও অদৃশ্য কারণে তিনি বার বার পার পেয়ে যাচ্ছেন। এতে বিদ্যালয়ে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে এক ধরণের ভীতি কাজ করছে।
আব্দুস সালাম নামে এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, যৌন হয়রানীর মত স্পর্শকাতর একটি অপরাধকে এ ভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে যা আদৌ কাম্য নয়। এ যেন গুরু পাপে লঘু শাস্তি। এর দায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটিও এড়াতে পারেন না।
চলতি বছরের গত ২২ জুন যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন।