৫১ রংপুর বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ও দহগ্রাম ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া স্থাপনে বাধা দেয়। কিছু সময় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখলেও পরবর্তীতে কয়েকশত বিএসএফ সদস্য এবং লোকজন নিয়ে আবারও বেড়া স্থাপনের কাজ করতে থাকে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে বিএসএফের অসংখ্য সদস্য মোতায়েন করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। গোটা দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে বিজিবিকেও সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
বিজিবি ও সীমান্তের স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতের কোচবিহার রাজ্যের ৬ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের করুণ ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন না মেনে শূন্যরেখার দেড়শো গজের একদম শেষ অংশে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি), রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (এডি) আমীর খসরু বলেন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিএসএফকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে বন্ধ করে কিছুক্ষণ পর আবার শুরু করে এ নিয়ে টান টান অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেক্টর ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে কথা হয়েছে। আমরা বেড়া সরায়ে নিতে বলেছি। শনিবার সরেজমিনে উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়টি দেখবেন।
এর আগে গত (০৭ জানুয়ারি) রাতের অন্ধকারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা পাটগ্রাম সদর ইউনিয়ন সীমান্তের শূন্যরেখার মধ্যে লোহার বৈদ্যুতিক খুঁটি ও অজানা একটি যন্ত্র স্থাপন করে।
পরদিন শনিবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে চাষাবাদের জমিতে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ, রংপুর ৬১ বিজিবি (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লোহার বৈদ্যুতিক খুঁটি ও খুঁটির সাথে স্থাপিত যন্ত্রটি দেখতে পায়।
কোনোকিছু না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে বিএসএফ কর্তৃক শূন্যরেখার মধ্যে এসব স্থাপনের প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।
সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের সহায়তায় অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ।