পানির বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতার কাদেরের চর, গুচ্ছগ্রামসহ তিস্তার চরাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে পানি কমে যাওয়াও নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন ।
দহগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুজ্জামান বলেন, “বাড়ির উঠানে কোমর সমান পানি। রাতে ঘুমাতে পারিনি। শিশুরা পানিতে পড়ে যাবে—এই ভয়ে সারারাত কোলে করে রেখেছি।”
হাড়িপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ জানান, “সবখানে পানি আর পানি। আমন ধানসহ নানা ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। পুকুরের মাছও ভেসে গেছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন, “তিস্তার পানি সকাল থেকে বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে। তবে বৃষ্টির পানি থাকায় নামতে সময় লাগছে। উজানের চাপ কমে যাওয়ায় বিকেলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছি।”
জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান, “হঠাৎ সৃষ্ট বন্যায় অনেক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। পাঁচটি উপজেলার ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সহায়তা প্রদান করেন। “প্রতিটি পানিবন্দী পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য টিন সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।