


গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বাসিন্দা ওমর ফাররুক মিয়া। থাকেন অন্যের বাড়িতে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস। একদিন শ্রম বিক্রি না করলে পেটে ভাত জোটেনা এ পরিবারে। যেন নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থায়। এরই মধ্যে যেন মড়ার ওপর খাড়ার ঘা লেগেছে। ইতোমধ্যে ফারুক মিয়া ‘অ্যাসাইটিস’ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পেটের ভেতর পানি জমেছে তার। এ চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে ঘরের শোকেস সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র বিক্রি করেছেন। এছাড়াও করেছেন ঋণও।
দ্রুত অপারেশন করতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখন চোখেমুখে হতাশার ছাপ। এতে অনেক টাকা দরকার। এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবারটির। তাই দানশীল ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নিকট সহযোগী চেয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন ওমর ফারুক। এই ফারুক মিয়ার বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পূর্ব দামোদরপুর বেড়াপাড়া গ্রামে। এ গ্রামের সুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে তিনি।
স্থানীয়রা বলছেন, অত্যন্ত গরীব পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ফারুক মিয়া। সহায় সম্পদ বলতে কিছু নেই তাদের। চরম বিপর্যয় নেমেছে এ পরিবারে। ফারুককে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করতে সবার পাশে দাঁড়ানো দরকার।
রোগাক্রান্ত ফারুক মিয়ার স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, ইতোমধ্যে স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে বহুত টাকা ব্যয় হয়েছে। ঘরের আসবাবপত্র বিক্রিসহ ঋণ করে এই টাকাগুলো খরচ করেছি। এখন স্বামীর অপারেশন করতে অনেকগুলো টাকা দরকার। এসব টাকা আমরা কই পাবো। এজন্য সবার কাছে আর্থিক সযোগীতা চাচ্ছি। আমাদের বিকাশ ০১৭৬২৮১৩৮১৯। এ বিষয়ে দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা গ্রামবাসী সবাই সহযোগিতা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। আজ তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুরে পাঠানো হয়েছে।