1. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. [email protected] : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
পীরগঞ্জ জোনাল অফিসে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ | দৈনিক সকালের বাণী
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন

পীরগঞ্জ জোনাল অফিসে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৪০ জন দেখেছেন

রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (পবিস)’র পীরগঞ্জ জোনাল অফিসে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এর যোগদানের পর থেকে এই হয়রানীর মাত্রা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ করছেন ভূক্তভোগী গ্রাহকরা। গ্রাহকরা এখন সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ মামলা, মিটার ও তার খুলে নেওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন জোনাল এলাকার গ্রাহকরা। অভিযোগে জানা যায়, এক সাংবাদিক গত ৭ জুলাই একটি বাণিজ্যিক সংযোগের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেন। আবেদনটি কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই বাতিল করে দেন। তিনি পুনরায় আবেদন করেন কিন্তু এবারও তাকে রহস্য জনক কারণে সংযোগ না দিয়ে নানাভাবে হয়রানী করছেন। হয়রানীর শিকার ওই সাংবাদিক বাংলাদেশ সাব-এডিটরস কাউন্সিলের একাধিক বার নির্বাচিত সাবেক সাধারন সম্পাদক। তার বাড়ি উপজেলার আরাজীগঙ্গারামপুরে।

সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, পবিস-১ পীরগঞ্জ জোনাল অফিস থেকে সংযোগ না দেওয়ায় ব্যবসা কার্যক্রম চালু করতে পারছি না। আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তিনি আরও বলেন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘আজাদ বিজনেস মার্টর এঙ্গেল ও প্রোফাইল শীট জয়েন্টের কাজ পার্শ্ববর্তী সংযোগ থেকে করার অভিযোগে ওই সংযোগটির তারসহ মিটার গত ৭ আগস্ট রাতের আধাঁরে খুলে নিয়ে যায় জোনাল অফিসের লোকজন।

১০ আগস্ট বিষয়টি সুরাহার জন্য ভুক্তভোগি মিটারের মালিকসহ বিদ্যুতের জোনাল অফিসে উপস্থিত হলে বিদ্যুৎ স্টাফরা জনান এ বিষয়ে ডিজিএম রবিউল ইসলামের কথা বলবেন। সেই মোতাবেক সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত হলে ডিজিএম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম এবং সাবেক পরিচালক মিলন খান এবং অন্য দুই জনের উপস্থিতিতে জানান আপনি অনেক বড় অপরাধ করেছেন, বিদ্যুৎ চুরি করেছেন। এই অপারাধের শাস্তি আপনাকে ১৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। জেলও খাটতে হবে। এই টাকা না দিলে আপনাকে সেনাবাহিনী দ্বারা তুলে নিয়ে এসে ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ডিজিএম সাংবাদিক আজাদের বিরুদ্ধে বাইপাস করে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের কথা বললেও মিটারে অতিরিক্ত বিল আসে, যা সেপ্টেম্বর মাসের বিলে ধরা পড়ে।

এ নিয়ে সাংবাদিকের ডিজিএমের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হলে তিনি এক পর্যায়ে বলে দেন আপনাকে ৫০ হাজার টাকা দিতেই হবে। ৫০ হাজার টাকা না দিলে ঢাকায় বিদ্যুৎ আদালতে মামলা হবে। টাকার ব্যাপারে সাংবাদিক আজাদ ডিজিএমের কাছে ব্যাখ্যা চাইলে তিনি মনগড়া কথা বলেন। পরবর্তীতে গ্রাহকের নামে ব্যাক ডেট দিয়ে চিঠি ইস্যু করেন। সেখানেও তিনি উল্লেখ করতে পারেননি কিভাবে হলো ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। শুধু আইনের কথা আর আদালতের ভয়ের কথা উল্লেখ করা হয়।

সাংবাদিক আজাদ তার আবেদনকৃত মিটারটি চাইলে তিনি বলেন, আপনার আবেদন বাতিল হয়েছে নতুন করে আবেদন করতে হবে। সেদিনই আবেদন করা হলে পরিদর্শক মিটারটি দেওয়ার অনুমোদন দিলেও ডিজিএম তার ক্ষমতাবলে মিটারটি আটকে রেখে দেন। বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে টাকা দাবি করেন এবং ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। ভয়ভীতি দেখা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বলেন, টাকা না দিলে মিটার দুটি তো দেওয়া হবেই না মামলা হবে, কয়েক গুন টাকা পরিশোধ করতে হবে। তিনি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের গ্রাহক ভাবছেন না।

দিনকে রাত, রাতকে দিন মনে করছেন। দাপট খাটাচ্ছেন তার বাড়ি বগুড়ায়। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসছে সেই দাপটে গ্রাহকদের সেবা না দিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রেখে হয়রানী করছেন। জিএম- এর সঙ্গে কথা হলে তিনিও অসহায় ডিজিএমের কাছে। তিনি বলেন, আমার করার কিছু নেই ডিজিএম যা করবেন তাই হবে।
গ্রাম্য ডাক্তার দিলদার রহমান সরকার বাড়ি তাতারপুর। দীর্ঘদিন ধরে থাকেন পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে।

বর্তমানে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগী, হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা এবং কথা বলতে পারেন না। তার নামে গ্রামের বাড়িতে রয়েছে একটি সংযোগ। ওই সংযোগে মিটারটিতে বকেয়া পড়ে ৭ মাস। সেই মিটারটির লাইন কাটতে গেলে তার ভাতিজা বকেয়া বিল পরিশোধ করতে চাইলে কথা কাটাকটি হয়। একপর্যায়ে চাচা-ভাতিজার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দুটি মিটারই কেটে আনা হয় অফিসে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিয়ে প্রসিকিউশনের মাধ্যমে দ্রুত রংপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে আদালত মামলাটির নিষ্পত্তির জন্য গ্রাম্য আদালতে পাঠায়।

মামলাটি গ্রাম্য আদালতে বিচারের দিনক্ষন নির্ধারণ হলেও ডিজিএম উপস্থিত না হয়ে হয়রানী করছেন। প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরীরত গাড়াবেড় গ্রামের সম্রাট। তার নতুন বাড়ির ওয়্যারিং করে মিটারের জন্য আবেদন করলে, আজও মিটারটি দেওয়া হয়নি।শুধু সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, ডাক্তার দিলদার রহমান সরকার কিংবা সম্রাট নন, এ রকম হাজার হাজার গ্রাহক নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মামলা খাচ্ছেন, হুমকী-ধামকির মধ্যে পড়ছেন। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উল্লেখিত দুর্নীতি অনিয়ম করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী গ্রাহকদের।
এ ব্যাপারে ডিজিএম রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )