কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৭ম শ্রেনি পড়ুয়া সাজ্জাদ হোসেনের (১৩) উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে তার সহপাঠীরা। রবিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ছালমান সরকার আপন,আরাফাত জামান, আবু সাঈদ জীবন সহ অনেকেই বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর মাসুদ গং কর্তৃক রাজু এর ২য় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন কে স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় স্কুলে যাওয়ার পথে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে অতর্কিতে হামলা করেছে। আমরা এঘটনায় দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী সাজ্জাদ বলেন, আমাকে লাঠি সোটা ও ইট দিয়ে মারধর করা হয় আমি অবিলম্বে দোষিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই। সাজ্জাদের মা স্বপানা বেগম বলেন, স্কুলে আসার পথে আমার ছেলেকে লাঠি সোটা দিয়া মারধর করে। পরে আমার ছেলে মার খেয়ে স্কুলে চলে যায় এবং তার শিক্ষক দের কাছে মারধরের ঘটনা খুলে বলে। এরপর তার বাবা স্কুলে গিয়ে ছেলের সন্ধান করে। ছেলেকে দেখে তিনি স্টক করেন আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। আমার ছেলেকে কেন মারা হইলো।
ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, লিখিত অভিযোগটি আদালতে পাঠানো হয়েছে। এখন আদালত থেকে নির্দেশনা আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত, উপজেলার পুটিমারী কাজল ডাঙ্গা এলাকায় জেলে সম্প্রদায়ের নিকট চাঁদা দাবীর মামলার জের ধরে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পুটিমারী এলাকার রাজু মিয়ার ছেলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফুলকলি মেরিট কেয়ার স্কুল পড়ুয়া সাজ্জাদ হোসেন (১৩) স্কুলে যাওয়ার পথে পুটিমারী কাজল ডাঙ্গা বাদ রাস্তায় আসা মাত্র আসামি পক্ষের ৩/৪জন শিক্ষার্থী সাজ্জাদ মিয়াকে সাইকেল থেকে ফেলে মারধর করতে থাকে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়। পরে খবর পেয়ে শিশুর বাবা রাজু মিয়া শিশুটিকে দেখতে গিয়ে হার্টএ্যাটাক করে। সেখান থেকে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে খবর ছড়িয়ে পড়লে ফুলকলি মেরিট কেয়ার স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী বিচারের দাবীতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়।