আশ্বিনের মাঝামাঝি সময়েও যেন দেখা মিলছে আষাঢ়ে বৃষ্টির দাপট। দেখা দিয়েছে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এতে লালমনিরহাটে পাটগ্রাম উপজেলায় তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাশ ৩ টায় হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত লালমনিরহাট ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আছে। এর ফলে তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর পানি সমতল আগামী দুই দিন পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী একদিন পর্যন্ত নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গরপোতা-দহগ্রামসহ তিস্তার চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষ বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন।
পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম মন্ডল বলেন, গত দু’দিন থেকে যে আকাশের পানি হয়েছে এতে তো তিস্তা নদীতে বন্যা শুরু হবে। তাই দুই দিন ধরে আতঙ্কে আছি। অনেক উঠতি ফসলি নিয়েও চিন্তায় আছি। গত দুই দিনে তিস্তার পানি একটু একটু করে বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন সকালের বানী’কে বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ গেট খোলা রাখা হয়েছে।
Related