বাঁশি, কাঠি ঢোল, দোতরা, খমক, তবলা, এস্রাজ, সেতার, বেহালা, সাঁনাই ও হারমোনিয়ামসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে শাস্ত্রীয় ও লোক সংগীত নিয়ে যন্ত্রসংগীত চর্চার প্রতি আগ্রহ বাড়ানো এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে বিভাগীয় শহর রংপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘যন্ত্রসংগীত উৎসব’। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
উৎসবের উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের ছোট বোন সুমি খাতুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু সাঈদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগীত প্রশিক্ষক তমাল কান্তি লাহরি ও কুমারেশ চন্দ্র বর্মণ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রংপুর জেলা কালচারাল অফিসার নুঝাত তাবাসসুম রিমু।
উদ্বোধনী ও আলোচনা পর্ব শেষে রংপুর জেলার শিল্পীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় সমবেত যন্ত্রসংগীত। এরপর পর্যায়ক্রমে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার শিল্পীরা একক ও দলীয় যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে। মনোমুগ্ধকর এ উৎসবের পরিবেশনায় ছিল বাঁশি, কাঠি ঢোল, দোতরা, খমক, তবলা, এস্রাজ, সেতার, বেহালা, সাঁনাই ও হারমোনিয়ামসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে শাস্ত্রীয় ও লোক সংগীত।