1. onlinesokalerbani@gmail.com : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. iqbalbarabil80@gmail.com : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. sharifuzzamanmdiqbal@gmail.com : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
ফুলবাড়ী সীমান্তে দরবেশ কছিমুদ্দিনের মাজার জিয়ারত করতে পারেনি বাংলাদেশী ভক্তরা | দৈনিক সকালের বাণী
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

ফুলবাড়ী সীমান্তে দরবেশ কছিমুদ্দিনের মাজার জিয়ারত করতে পারেনি বাংলাদেশী ভক্তরা

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৫ জন দেখেছেন
oplus_2
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে দরবেশ কছিম উদ্দিন মাজার জিয়ারত উপলক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফের টহল জোরদার করা হয়েছে।  ভারতের ভুখন্ডে মাজারটি অবস্থান হওয়ায় ভারতীয় নারী পুরুষরা অংশগ্রহন করলেও পারেনি বাংলাদেশী ভক্তরা। ফলে দরবেশ কছিম উদ্দিনের ৭৮তম জিয়ারত ও মানত দিতে না পারায় শুক্রবার  বিকাল পর্যন্ত বাংলাদেশী ভক্তরা ফিরে গেছে দলে দলে।
জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুটিচন্দ্রখানা নাখারজান সীমান্তের ওপারে  ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার  সাহেবগঞ্জ থানার মনাইটারী সেউটি-৩ ও নাখারজান সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৪১ এর সাব পিলার ১ এস থেকে ৫ এস পিলারের নিকট (জিরো লাইনে) প্রায় দেড়শ বছর পূর্বে আরব থেকে আসা দরবেশ কছিম উদ্দিন ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য আস্তানা গাড়েন।
ধর্ম প্রচারের  এক পর্যায় তার মৃত্যু হয়। নির্ঝন ওই এলাকায় তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুর পর সীমান্তের দু’পাড়ের ধর্মপ্রাণ লোকজন প্রতি বছর ১০ জানুয়ারী মৃত্যু দিবস পালন করে। সেখানে ওরস মোবারকের সঙ্গে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করা হয়।
৬ শতক জমির ওপর নির্মান করা হয় তাবু। জিয়ারতের পাশা পাশি এই দিনে  দু’দেশের আত্মীয়স্বজনদের দেখা মেলে অনুষ্ঠিত হয়। এক অপরের সাথে কথা হতো দীর্ঘ দিন পর। সেই আশায় লোকজন মাজারে পাশে জড়ো হলেও সংযোগ মেলেনি তাদের। সীমান্তের জিরো লাইনে দরবেশের মাজারটি হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে বসবাসকারীরা যৌথ আয়োজনে ওরসটি পালন করে। এবার ভারতীয় বিএসএফের বাধায় বাংলাদেশীরা প্রবেশ করতে পারেনি।
লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়ী এলাকা থেকে উজ্জালা রানী ও মনভোলা চন্দ্র রায় জানান, আমাদের চাচাতো ভাই ভারতের কোচবিহারের দিনহাটা শহর থেকে নিধু চন্দ্র ও বিমুল চন্দ্র এসেছিল জিয়ারত করতে। হোয়াটস অ্যাপে কথা হয়েছে। আশা করছি মেলায় দেখা হবে । অনেক আশা করে এসেছিলাম তাদের সাথে কুশল বিনিময় করে পরিবারের সংবাদ জানবো। কিন্তু দেখাও হলো না মাজারের মানত ও দিতে  না পেয়ে  ফিরে যাচ্ছি।
একই কথা জানা কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা থেকে আসা সাইদুল ইসলাম ও হবিবর রহমান । আমরা জানি প্রতি বছর এখানে মেলা ও দরবেশ কছিম উদ্দিনের  জিয়ারত  হয়।
নোম্যান্স লান্ডে রবেশ কছিম উদ্দিনের  জিয়ারত  ও মেলা এক সাথে হওয়ায় ভারতের আত্বীয় স্জনের সাথে দেখা হয়। সুখ দুখের আলোচনা হতো জিয়ারত উপলক্ষে। সেটা এবার আর বিজিবি-বিএসএফের টহল জোরদারের কারণে প্রবেশ করতেপারিনি এখন ফিরে যাচ্ছি।
নাখারজান সীমান্তবাসী আব্দুল মালেক,  রফিকুল ও এনামুল হক জানান, আমাদের বাড়ীর পাশে দরবেশের মাজার হলেও আমরা এবার মানত করতে পারিনি। আমরা উভয় দেশের বসবাসকারীদের মাধ্যমে জাকজমক ভাবে ওরস মোবারক পালন করেছিলাম।
এলাকায় বসতো মিলন মেলা। দুই দেশের জিনিসপত্র বিক্রি হতো মেলায়। দু’দেশের আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা হতো। কিন্তু দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবি ও বিএসএফের কট্টর নজরদারি থাকায় এবছর কোন বাংলাদেশি যেতে পারেনি। অনেক লোকজন দূর-দূরান্ত থেকে এসে ফিরে গেছে।
দরবেশ কছিম উদ্দিনের জিয়ারত কমিটির ভারতের অংশের সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়া জানান, বিএসএফের বাঁধার কারনেন এবছর বাংলাদেশিদের প্রবেশ নিষেধ রয়েছে। সকাল থেকে বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে মাজারের জিয়ারতসহ সব ধরণের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে বিএসএফ।
এ প্রসঙ্গে লালমনিহাট ১৫ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধীন গংগারহাট বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত ন্যাস নায়েক ছানোয়ার হোসেন জানান ভারতের ভুখন্ডে কছিমুদ্দিনের মাজার হওয়ায় বাংলাদেশীদের জিয়ারত স্থানে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এ জন্য আমরা সকাল থেকে দিন ব্যাপী টহল জোরদার করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )