1. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. [email protected] : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
 মোমবাতির আলোয় বৈরী আবহাওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত | দৈনিক সকালের বাণী
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

 মোমবাতির আলোয় বৈরী আবহাওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁও অফিস
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯৬ জন দেখেছেন
ঠাকুরগাঁওয়ে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সারাদেশের মতো ঠাকুরগাঁওয়েও একযোগে পরীক্ষা শুরু হলেও, সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টিপাত ও বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগ। সকাল ৯টার দিকেই শুরু হয় টানা বৃষ্টি, যা চলে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। এসময় অনেক পরীক্ষার্থীকে বৃষ্টিতে ভিজে কেন্দ্র পর্যন্ত যেতে দেখা যায়। কেউ ভিজে গিয়ে কেন্দ্রে ঢুকেছে, কেউ আবার বই-খাতা ও অ্যাডমিট কার্ড বাঁচিয়ে কষ্ট করে কেন্দ্রে পৌঁছেছে।
ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মোট ২২,৭২৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এসএসসি (সাধারণ) শাখায় ১৭,৯৭৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ২,৮০৮ জন এবং কারিগরি শাখায় ১,৯৩৯ জন শিক্ষার্থী।জেলার মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ৪০টি। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার জন্য ২৪টি, মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য ৭টি এবং কারিগরি শাখার জন্য ৯টি কেন্দ্র নির্ধারিত হয়েছে। বিশেষ করে যেসব কেন্দ্রে বিদ্যুৎ ছিল না বা বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে, সেখানে শিক্ষার্থীদের মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের  শিক্ষার্থী প্রাপ্তি জানায়, “বাইরে ঝড়-বৃষ্টি, আবার বিদ্যুৎও ছিল না। আমাদের রুমে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। আলো কম থাকায় প্রশ্ন পড়া ও উত্তর লেখা বেশ কষ্টকর ছিল।” আরেক পরীক্ষার্থী জুবায়ের জানায়, “ভিজে কেন্দ্রে আসতে হয়েছে। ঠাণ্ডায় হাত কাঁপছিল, তারপরও সাহস করে পরীক্ষা দিয়েছি। মোমবাতির আলোয় লেখাও ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না।”
পরীক্ষাকেন্দ্রে অপেক্ষারত এক অভিভাবক বলেন, “সকাল থেকেই বৃষ্টি। ছেলেমেয়েরা ভিজে কেন্দ্রে এসেছে। কর্তৃপক্ষ আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এই দুর্ভোগ হতো না।” আরেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এতো বড় পরীক্ষা, অথচ বিদ্যুতের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই। মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে—এটা খুবই দুঃখজনক।”
ঠাকুরগাঁও  উপজেলার সালান্দর  মাদ্রাসা শিক্ষক  শিক্ষক জানান, “বৃষ্টিতে শিক্ষার্থীরা কিছুটা মানসিক চাপে ছিল। তবুও তারা সাহস করে পরীক্ষা দিয়েছে। শিক্ষকরা তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন।” জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে কিছু অভিযোগ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমস্যাগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )