
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হওয়া এই ঝড়ে দুই হাজার আটশত সাতাত্তরটি পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া স্কুল, গাছপালা এবং বিভিন্ন ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের সময় তীব্র শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ধান, ভুট্টা, আম, লিচু সহ নানা ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “গতরাতে ঝড়ে আমার বাড়ি ভেঙে গেছে এবং কয়েক বিঘা জমির ভুট্টা বাতাসে পড়ে যায়।”
পারুলীয়া তফসিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, “ঝড়ে বিদ্যালয়ের একটি গাছ উপড়ে পড়ে চারটি ক্লাসরুমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।” সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আরিফুল ইসলাম বলেন, “আমার ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, বোরোধান ও ভুট্টা ফসলেরও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে।”
ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান জানান, “ঝড়ের তীব্রতায় অনেক ঘরের টিনের ছাউনি উড়ে গেছে এবং আশপাশের ফসলের ক্ষতিও হয়েছে।” হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার মিজানুর রহমান জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় ৭৫ হেক্টর ভুট্টা জমির ক্ষতি হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা বলেন, “হাতীবান্ধা উপজেলায় মোট দুই হাজার আটশত সাতাত্তুরটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য প্রশাসন কাজ শুরু করেছে।”
Related