বুধবার (১৪ মে) দিনগত রাত ১টার দিকে উপজেলা দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রিয়াদ হোসেন জামালপুর-৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা বিওপিতে কর্মরত ছিলেন। তিনি নেত্রকোনার আটাপাড়া উপজেলার দিয়ারা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
আহতরা হলেন, বিজিবি সদস্য হাবিলদার জসিম (৫২), সিপাহি নাদিম (২৮), সিপাহি শাহীন (২৮) ও আনসার সদস্য ফেরদৌস হোসেন (৩৬)।
জামালপুর-৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমান বলেন, রাত ১টার দিকে রৌমারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নম্বর-১০৫৪ এর নিকটবর্তী দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলতলী গ্রামে টহল দিচ্ছিলেন কয়েকজন বিজিবি ও আনসার সদস্য। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে চার বিজিবি সদস্য ও একজন আনসার সদস্য বজ্রপাতের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। এ সময় দাঁতভাঙ্গা বিওপি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিজিবি সদস্য রিয়াদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বাকি দুজন রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. নবিউল ইসলাম জানান, বজ্রপাতের শিকার হয়ে এক বিজিবি সদস্যকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর আরও দুই বিজিবি সদস্যের অবস্থার অবনতি হলে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।