নীলফামারীর ডোমারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালুর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার চিলাহাটি পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন তার বাড়িতে চুরির ঘটনাটি ঘটে। গতকাল রাতে ঘরের সবাইকে চেতনা নাশক কিছু দিয়ে অচেতন করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর চোরেরা বাড়িতে ঢুকে স্টিলের আলমারি ও ড্রয়ার ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর সকাল পর্যন্ত কেউ ঘুম থেকে ওঠেননি। সকাল ৯টার দিকে রেয়াজুল ইসলাম কালুর ছেলে সাজির ঘুম ভাঙলে তিনি দেখতে পান, তার বাবা ও স্ত্রী এখনও অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে আশ পাশের সবাইকে ডাকলে সবাই দেখতে পায় ঘরের ভেতরে তছনছ করা অবস্থায় সব কিছু পড়ে আছে। চোরেরা সিসি ক্যামেরাগুলো আগেই ভেঙে ফেলে, মোবাইল ফোনগুলো সরিয়ে নেয় এবং পরে বাড়ির আশপাশে ফেলে রেখে যায়।
চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু জানান, “গতকাল রাত ১০টার দিকে তুহিন ভাইয়ের সাথে মিটিং করে বাড়ি ফিরি। শরীরটা খারাপ লাগছিল, তাই দ্রুত শুয়ে পড়ি। সকাল ৯টার দিকে আমার ঘুম ভাঙলে দেখি আলমারি-ড্রয়ার খোলা, মোবাইল গায়েব, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় এক কোটি টাকার জিনিস চুরি হয়েছে। আমার যদি এমন হয়, সাধারণ মানুষ তো আরও আতঙ্কে থাকবে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত এই চক্রকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
এদিকে খবর পেয়ে সোমবার সকাল থেকে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তার বাড়িতে ছুটে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডোমার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী ও ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুল ইসলাম।
সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী বলেন, “প্রাথমিকভাবে এটি চুরির ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের চেতনানাশক কিছু খাইয়ে অচেতন করে চুরি করা হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়েরের পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এ ঘটনায় ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী দ্রুত চক্রটির গ্রেফতার ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছে।