


ঢাকা– রংপুর মহাসড়কের মিঠাপুকুর অংশে গত ৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোছা. উম্মে সালমা রাফিমনীর বাবা রওশন মিয়া। জানা যায়, ঘটনার দিন তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে হঠাৎ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। বর্তমানে তিনি ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতাল, কল্যাণপুর শাখার আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।
চিকিৎসকদের তথ্যমতে, রওশন মিয়ার মস্তিষ্কে দুটি স্থানে রক্তক্ষরণ হয়েছিল এবং দুই পাশের চোয়াল ভেঙে গেছে। এর মধ্যে মস্তিষ্কের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে, তবে তিনি এখনও অচেতন অবস্থায় আছেন। পরবর্তী ধাপে চোয়ালের জটিল অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হবে। এর আগে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে নেওয়া হলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রওশন মিয়া পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বর্তমানে তার পরিবার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে চিকিৎসায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে, এবং চিকিৎসকদের হিসেবে আরও ৮–১০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হবে বলে জানানো হয়েছে।রাফিমনী বলেন, আমার বাবার এখনও জ্ঞান ফেরেননি। চোখ খোলেননি, কথা বলেননি। প্রাইভেট হাসপাতালের খরচ অনেক বেশি। আমাদের পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, আমার বাবার জীবন বাঁচাতে আপনারা যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করুন। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ৬নং কাফ্রিখাল ইউনিয়নের জায়গীরহাটে।
আমি বড় মেয়ে, ছোট ভাইবোন আছে। বাবার চিকিৎসা ছাড়া আমাদের আর কোনো ভরসা নেই। হাবিপ্রবি মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে সহযোগিতা শুরু করেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, রাফিমনীর বাবার চিকিৎসার জন্য যতদিন সম্ভব, আমরা পাশে থাকব। মানবিক এই মুহূর্তে, সমাজের সকল দয়ালু মানুষকে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাফিমনী ও তাঁর সহপাঠীরা। সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন: সালমা: ০১৮৬৫৪৮১৬৮১ (বিকাশ/নগদ) পিয়াস: ০১৭৫০৪৮৮৩২৭ (বিকাশ/নগদ)।