বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখা স্থানীয় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) মো. আব্দুল খালেক।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মো. আব্দুল গফুর সরকার, সহ সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য বিলকিস ইসলাম স্বপ্না, সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শাহীন আকতার শাহীন ও বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মিন্টু বসু।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এম তরুণ দে।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ সরকার দেবা’র সভাপতিত্বে কর্মী সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সৈয়দপুর হিন্দু কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমিত কুমার আগরওয়ালা (নিক্কি)।
সৈয়দপুর হিন্দু কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি টিকেন্দ্র জিৎ রায় মীরু’র সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম -সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ পারভেজ লিটন, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরী, বিএনপি নেতা প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, সৈয়দপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, সৈয়দপুর জেলা যুবদলের আহবায়ক তারিক আজিজ, কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের সহ সভাপতি বিশ্বাস বাবু, সৈয়দপুর হিন্দু কল্যাণ সমিতির সদস্য সমাজসেবক নন্দ কুমার রায়, অধির কুমার রায়, কমলা কান্ত রায় প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে সৈয়দপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওনক জাহান রেনু, সাধারণ সম্পাদক রূপা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এম তরুণ দে বলেছেন ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকা বিএনপি হচ্ছে সাস্প্রদায়িক সম্প্রীতির দল। হিন্দু, বৌদ্ধ, থ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে রয়েছে আত্মার সম্পর্ক। অথচ এর বিপরীত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা মুখে সম্প্রীতির কথা বললেও তাদের আমলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এদেশে আমাদের বাপ দাদারা জন্ম নিয়েছেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। তারপরও কোন কিছু হলেই আমাদের সম্প্রদায়কে নিয়ে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। গত ৫ আগস্টের পর দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে গভীর ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, সারাদেশে যে সব ঘটনা ঘটেছে সবগুলোই ষড়যন্ত্রের অংশ। কিন্তু আমরা সেই ষড়যন্ত্র সফল হতে দিব না। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী বিএনপি সব সময় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের পাশে ছিল, আছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সকলকে এক সঙ্গে কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাবেন, সেখানেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করবেন। এ জন্য বিএনপিসহ বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে।