বাংলাদেশ

ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির দেখা নেই, পানির স্তর নিচে চরম দূর্ভোগে মানুষ

অনিল চন্দ্র রায়,ফুলবাড়ী   কুড়িগ্রাম

০৩ মে ২০২৪


| ছবি: 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক থেকে দেড় মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। ফলে টানা খরার কবলে উপজেলাবাসী। চলমান তাপদাহে উপজেলা জুড়ে শতশত পরিবারের টিউবওয়েল ও সেচ পাম্পের পানির স্তর ক্রমশ নিচে নামছে। এই প্রথমবারের খরতাপ শুরু হওয়ায় তীব্র তাপদাহের মাঝে পানির সংকট দেখা দিয়েছি। তীব্র খরা পরিস্থিতিতে বৈশাখী মাসেই পানির স্তর ৩৫ থেকে ৪০ ফুটেরও বেশি নিচে নেমে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। উঁচু এলাকাগুলোতে পানির সংকট আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই এলাকাগুলোতে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, চলমান মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খরায় উপজেলাতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে। বৈশাখের শুরু থেকেই প্রচণ্ড গরমে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। গোসল,  খাবার পানি ও শ্যালোমেশিন এবং সেচ পাম্পের পানির সংকট দেখা দিয়েছে।  উপজেলা জুড়ে পানির জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অনেকের। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় পানি নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ির পুরুষ সদস্যরা আশপাশের পুকুর কিংবা অন্য কোথাও গোসল সেরে বাড়ির জন্য বালতি ও কলস ভরে পানি সংগ্রহ করে আনছেন। খাবার ও রান্নার কাজের জন্য পানি সংগ্রহ করতে ছুটতে হচ্ছে আশপাশের গভীর নলকূপ কিংবা সেচ পাম্পে। উপজেলার নওদাবস শেখপাড়া এলাকার শিক্ষক আব্দুর রহমান শেখ জানান, ২২৫ ফুট গভীর টিউবওয়েল থেকে পানি উঠছে না। প্রয়োজনের তাগিদে প্রচুর চাপ প্রয়োগ করে পানি নিতে হয়। টিউবওয়েলের পাশাপাশি তার সেচ পাম্পেরও একই অবস্থা।  তিনি আরও জানান, ওই এলাকার প্রায় ৩০ টি পরিবারে একই সমস্যা ভুগছেন। 

উপজেলার কুরুষাফেরুষা সুচিত্রা রানী রায় জানান, টানা এক সপ্তাহ আগেই ৩০ ফিট গভীর টিউবওয়েলের পানি নিচে নেমে যায়। অনেক শক্তি প্রয়োগ করেই কোন রকমেই অল্প পরিমানে পানি আসছে। গোসল সারছি অন্যের বাড়ীতে। দীর্ঘ সাতদিন থেকে পানির সংকটে আমাদের অবস্থা খুবেই করুন। দুই একদিনে বৃষ্টি না হলে আমাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে বলে তিনিসহ অনেক পরিবার আশংকা করছেন। 

উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, বৈশাখ মাসে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির স্তর ৩৫ থেকে ৪০ ফুট নিচে নেমে গেছে। আমরা সরকারীভাবে এ উপজেলার ৯২ টি গভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) বসানো হয়েছে। এছাড়াও অনেকেই গভীর নলকূপ আছে। তবে উপজেলা জুড়ে কিছু এলাকায় যে সব পরিবার ২৫ থেকে ৩০ ফুট গভীর নলকূপ দিয়েছেন। শুধুই মাত্র তাদের নলকূপে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলেই ওই নলকূপের পানির সংকট কেটে যাবে।

39