বাংলাদেশ

কৃষির উৎপাদন বাড়াতে হলে নদীর শাসন করতে হবে- প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক

শাহাদত হোসেন মিশুক   গাইবান্ধা

০২ জুন ২০২৪


| ছবি: প্রতিনিধিঃ

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। দেশে ৪০৫টি ছোট বড় নদী আছে। আমাদেরকে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াতে করতে হবে। কৃষির উৎপাদন বাড়াতে হলে নদীর শাসন করতে হবে। কারণ নদী ভাঙ্গন হলে কৃষি জমি কমে যাবে। এতে উৎপাদনও কমে আসবে। তাই উন্নয়ন করতে হলে, বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করতে হলে, নদী ভাঙ্গন রোধ করতে হবে। নদীর কাছে যেসব গ্রাম আছে, শহর আছে, সেগুলোকে রক্ষা করতে হবে। নদী ভাঙ্গন রোধে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেসব এলাকায় ভাঙ্গন আছে, সেখানে স্থায়ী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাধ নির্মাণ করা হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

রোববার দুপুরে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ি হাইস্কুল মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ফুলছড়ি উপজেলায় ইতোমধ্যে ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আজ আমি নিজেই সরেজমিনে এসেছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এখানকার মানুষকে আর নদী ভাঙনের মুখে পড়তে হবে না। নদী ভাঙ্গন রোদ কেবল আপনাদেরই দাবি নয়, এটি আমাদেরও দাবী। 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর থেকেই দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। 

 মতবিনিময় সভায় এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার কামাল হোসেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর জামান, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, সাঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান শামসীল আরেফিন প্রমুখ।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক হেলিকপ্টার যোগে এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নে আসেন। তিনি ইউনিয়নের জিগাবাড়ি এলাকার যমুনা নদীর বাম তীরের ভাঙন পরিদর্শন করেন। পরে তিনি হেলিকপ্টার যোগে কুড়িগ্রাম জেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

37