বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জে বিলুপ্তির পথে শীতলপাটি মূর্তার চাষ

প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ   নীলফামারী

০৭ জুন ২০২৪


| ছবি: প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় শীতলপাটি মূর্তার চাষ কমে গেছে। এতে কাঁচামালের অভাবে পাটির কারিগররা বিপাকে পড়েছেন। বেড়েছে দামও। স্থানীয় ভাষায় এ পাটিবেত 'মোতা' নামে পরিচিত। এক সময় উত্তর বঙ্গ তথা পুরো নীলফামারী জেলায় এর চাষ হতো। অন্যান্য উপজেলার তুলনায়  কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এ মোতার চাষ বেশি হতো। বর্তমানে এই উপজেলায় ও বিলুপ্ত প্রায়। মোতা চাষি বিনোদ চন্দ্র  বলেন উত্তর বঙ্গের নীলফামারী জেলায় এক সময় এই মোতার চাষ ছিল ঘরে ঘরে। 

প্রত্যেকটা বাড়িতে তৈরি হত এই মোতার শপ। দামও ছিল ভালো। সারাদিনে ২জন মিলে কমপক্ষে ৩ খান শপ তৈরি করে বিকাল ৪ টার দিকে হাট অথবা বাজারে বিক্রি করে চাল ডাল সহ সব নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য কেনা যেতো সহজেই। বিশেষ করে জৈষ্ঠ্যমাস থেকে শুরু করে কার্তিক মাস পর্যন্ত বৃষ্টি আর শাপট হয় অন্য কোন কাম- কাজ থাকে না সেই সময় এই এলাকার মানুষের একমাত্র আয়ের রাস্তা শুধু শপ তৈরি করে সেই আয়ের উপরে চলতে হয়। মোটকথা বলতে ধরি নেন ঐ সময় যার ঘরত ১০০ শুটা মোতা থাকে তায় মনে করে মোর ঘরত বা মাঁচাত  ১০০ মন ধান আছে। 

ছিট রাজীব গ্রামের মোতা চাষি এলিয়াছ হোসেন বলেন নীলফামারী জেলার মেয়ে -ছওয়া যে যে উপজেলাত ছিল সেই সেই উপজেলাত মোতার চাষ হতো। কিশোরগঞ্জ উপজেলার সউগ ইউনিয়নোত ছিল মোতার আবাদ চোখে পড়ার মত। তিনি দুঃখ করে আরও বলেন মোতার শপের আবাদ করতে খরচ ও পরিশ্রম বেশি হওয়ায় কমে গেছে মোতার চাষাবাদ। মনে করেন একখান তেহাতা শপ বানাইতে সময় লাগত ৩ ঘন্টা বেচেয়া সংসারের সব খরচেই হতো। এখন চাষাবাদ অভাবে মানুষ আলশিয়া হয়া গেইছে। ব্যাবসায়ি আঃ রউফ ডাইরকা বলেন কিশোরগঞ্জ বাজার সহ আশপাশের বাজার গুলোতে শীতলপাটি মোতার শপের কদর ছিল প্রচুর। অনেক দূর-দূরান্তর থেকে পাইকার এসে শীতল পাটিবেত মোতার শপ কিনে সারাদেশে সরবরাহ করতো ব্যাবহারে আরামদায়ক ছিল।  চাষাবাদের অভাবে এ কৃষিপন্য বিলুপ্তির পথে। 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষিবীদ লোকমান আলম বলেন আমরা শীতল পাটিবেত মোতার শপ চাষিদের প্রশিক্ষণ ও ভূর্তকির মাধ্যমে এই কৃষিপন্য চাষাবাদ ধরে রাখার পদক্ষেপ নেব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম আশিক রেজা বলেন যারা হস্ত শিল্প হিসেবে শীতল পাটিবেত মোতা চাষে আগ্রহী তাদের তালিকা তৈরি করে সহযোগিতা করা হবে । 

105