বাংলাদেশ

কোরবানির গরু বিক্রিতে লাভের আশায় খামারীরা 

প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ   নীলফামারী

০৬ জুন ২০২৪


| ছবি: সংগৃহীত

সারা বাংলাদেশের তুলনায় উত্তর বঙ্গ তথা নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা গরীব দরিদ্র ও মঙ্গাপীরিত এলাকা হিসেবে এক সময় পরিচিত ছিল। সেই গ্লানীকে মূছে ফেলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে বেকারত্ব কমিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট্ট পরিসরে কয়েকটি  গরুর খামার। পারেরহাট পাঠান পাড়া এলাকার খামারী রাজা মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান আমি গত বছরে খামারটি শুরু করেছি মোট ২৯ টি গরু দিয়ে। প্রত্যেকটি গরু  কুরবানীর জন্য প্রস্তুত হয়েছে  তবে আশা করছি মোটামুটি লাভ হবে যদি গরুর খাদ্যের দাম স্বাভাবিক থাকতো তাহলে আরও ভালো পোষাতো ওনার স্ত্রী বলেন একটি গরু ৮ মাস আগে ৮০ হাজার টাকায় কিনেছি এখন বিক্রি করলে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হবে। খামারী রাজা মিয়া আরো বলেন এবারে যদি কুরবানি ঈদে পালিত গরু বিক্রি করে  লাভ ভালো হয় তাহলে আগামী দিনে আরো প্রায় তিন থেকে চার একর জায়গার মধ্যে গরুর খামার গড়ে তুলবো পাশাপাশি রাজা মিয়া সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন। 

কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ছিট রাজীব বাংলা বাজার গ্রামের খামারী ছামাদ মিয়া বলেন মুই খুব কষ্ট করে ২ বছরে ৯ টি অষ্ট্রেলিয়ান জাতের আড়িয়া ( ষাঁড়)  গরু লাগাছুং জায়গা জমি নিজের বেশি নাই ৯ শতক মাটিত নেপালিয়ান ঘাস লাগে খাওয়াং আর ৩ মাস থাকি ভোগাং প্রত্যেকদিন বর্তমান ৯টা গরুর পেছনোত ১৫০০ টাকার মত ব্যায় খাদ্য হিসেবে খাওয়াংছোল গুড়া চোপড় ভুষি ফিড খুদির ভাত আর বাড়ির একনা ঘাস,  ভালোটার ২ দাঁত  আশা করংছ ২ লাখ হবে আর বাকী গুলাও দেড় লাখ করে হইবে। ভালো দামে স্বপ্ন পূরণ হলে সামনের বছর আরও বেশি গরু লাগাইম। 

বাহাগিলী ইউনিয়নের পাগলার বাজার এলাকার রিয়া এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের খামারী  রোকন ইবনে আজিজ বলেন  গত বছরে ১২০ টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছিলাম কিন্তু গো খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবারে ৭৫ টি গরুর মধ্যে ১৫ টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। কারণ জানতে চাইলে কালবেলা কে বলেন ২৮ টাকার ভুষির কেজি এখন ৫৬ টাকা কিনতে হয়  ১৮ টাকার ভুট্টা ৩১ টাকা ২৮ টাকার দানাদার ডাল ৪৬ টাকা ২২ টাকার খৈল এখন ৪২ টাকা ১২০ টাকার পোনের (৮০ পিছ) কাড়িয়া (খর) এখন ৩৫০ টাকা এজন্য পোষায় না তারপরেও ৭ মাস আগে যে গরুটি ৩৫ হাজার টাকায় কিনেছি সেটা এখন আশা করছি  ৯০ হাজার টাকা  হবে। আমি এবারে ১০ বিঘা জমিতে পানচুং জাতের ঘাসের চাষ করেছি সে জন্য দাম ভালো থাকলে পোষাবে। একাধিক খামারী বলেন গো খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবং অবৈধভাবে ভারতীয় গরু প্রবেশ করায় আমরা খামারীরা অসহায় হয়ে পড়ি। সরকারের কাছে দাবী আমাদের একটাই ভারতীয় গরু অনাধিকার প্রবেশ বন্ধ করে গো খাদ্যের মধ্যে ভুর্তকি দিলে গরু পালনে সফলতা সহ মাংস বৃদ্ধি করে সারা দেশের  চাহিদা মেটাতে সক্ষম হব। 

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা নুরুল আজিজ বলেন কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ছোট বড় ৫১৩৩  টি গরু ছাগলের  খামার আছে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গরু সহ ছাগল ও ভেড়া  মোটাতাজা করনে উদ্বুদ্ধ করা হয়।  বর্তমানে ঈদুল আযহা উপলক্ষে নিরাপদ গবাদি পশুর মাংস উৎপাদনে কুরবানীর জন্য উপযোগী ষাঁড় ৮১৬০ টি বলদ ২৭০ টি বকনা গাভী ১২২২০ টি ছাগল ১৯১০০টি ভেড়া ২৩৮০ টি মোট ৩৩৭০০টি  তবে অনুমান করা হয়েছে  চাহিদার সংখ্যা ২১৬৮০টি অতিরিক্ত আছে ১২০২০ টি। 

11