বাংলাদেশ

খানসামায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন মরার উপর খারার ঘা

জসিম উদ্দিন, খানসামা   আন্তর্জাতিক

৩০ এপ্রিল ২০২৪


| ছবি: 

দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা দেশ। আকাশ ফেটে যেন ঝরছে আগুন। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই তপ্তরোদে বাইরে তুলনামূলক কম বের হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সূর্যের প্রখর তাপে তীব্র গরমে নাজেহাল। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে ঘরের ভেতরেও মিলছে না মুক্তি। আর এই তাপপ্রবাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। বৈদ্যুতিক পাখা না চলায় গরমে আরও কষ্ট পেতে হচ্ছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বাসিন্দাদের। সারাদিনে তিন ঘণ্টাও মিলেছে না বিদ্যুৎ।

নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরাও। সে কারণে সেচ পাম্পের মালিক ক্ষেতে পানিও দিতে পারছেন না। সেচের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানক্ষেত।

 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিনাজপুরে দুপুর ৩ টায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আদ্রতা ১৮%। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ১২ কিলোমিটার/ঘন্টা।

তীব্র গরমের এই সময়ে দফায়-দফায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন উপজেলার অনেকেই। তারা বলছেন, একদিকে গরম, অন্যদিকে চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। এ কারণে সাধারণ মানুষ ঘরেও টিকতে পারছেন না।

 

উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা জানান, তীব্র গরমে কোথাও গিয়ে শান্তি নাই। বাইরে রোদের ফলে একটু ঘরে থাকবো কিন্তু বিদ্যুতের যে যাওয়া-আসা এতে আরো বেশি ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা। বর্তমানে আমরা নিরুপায়।

 

বাসুলী গ্রামের আঃ মজিদ বলেন, সন্তানের নিয়ে বেশি টেনশনে আছি। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ গেলে আর খবর নাই এছাড়া বিদ্যালয়ে পাঠালে গরমে অস্থির। তাদের লেখাপড়া কোন দিকে যাচ্ছে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি আমিসহ আরো অভিভাবকগণ।

 

বিদ্যুতের যাওয়া আসা নিয়ে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর খানসামা সাব জোনাল অফিসের এজিএম মো. ইখতিয়ার আহমেদের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম থাকার কারণেই লোডশেডিং হচ্ছে। তবে দাবদাহ কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি। বোরো ধান চাষের অঞ্চল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ছাড়া সব জায়গায় সমানভাবে লোডশেডিং হচ্ছে।

34