বাংলাদেশ

রৌমারী মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি হারিয়ে যেতে দেব না. জাহিদ ফারুক

প্রতিনিধি রাজীবপুর   কুড়িগ্রাম

০২ জুন ২০২৪


| ছবি: প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারী মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত এলাকা হারিয়ে যেতে দেব না পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। রবিবার দুপুর ২টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের ভয়াবহ ভাঙ্গনরোধে  রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলাধীন এলাকা ভাঙ্গন রোধকল্পে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর সংরক্ষণ এলাকা পরিদর্শন শেষে এ সব কথা বলেন তিনি। দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে রৌমারী উপজেলায়  ফলুয়ারচর ঘাট ও চরশোলমারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারীর, চর রাজিবপুর উপজেলা  মোহনগঞ্জ, কোদালকাটি ইউনিয়নের বড়বেড় চর, রাজিবপুর সদর ইউনিয়নে মুন্সিপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে রৌমারী উপজেলায় চর শৌলমারী ইউনিয়নের সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী (অব:) কর্নেল জাহিদ ফারুক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, ড.আ.ল.ম বজলুর রশিদ অতিরিক্ত সচিব পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়, রংপুর বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আব্দুল কাদের সরকার প্রমূখ।

এসময় বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আব্দুল কাদের সরকার আক্ষেভ করে বলেন, দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছর অতিবাহিত হলেও এখন প্রযন্ত কেউ আমাদের ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীরটি স্থায়ীভাবে শাসণকরতে পারেনী। এক সময় সোনাপুর হাই স্কুল মাঠে আমরা মুক্তিযোদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছি। 

মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যান্ত প্রচেষ্ঠায় আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে এবং অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা নদীভাঙ্গা এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা ভেবে আমাকে বলেছেন নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে আমি তার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।  মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত  এলাকায় যে যে সমস্যা কথা আমাকে জানানো হয়েছে সেই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমি ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষের সময়ও আমি এখানে এসেছি সেই স্মৃতি বিজারিত এলাকাটি আমি হারিয়ে যেতে দেব না। পর্যায়ক্রমে সমস্যাগুলো সমাধান করবো।

সমাপনী বক্তব্যে অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ বলেন আমার নির্বাচনী এশতেহারে নদী ভাঙ্গন সমস্যার সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আমি নির্বাচিত হয়েছি ৬ মাস হয়নি। নির্বাচিত হওয়ার পর দিন থেকেই আমি নদী ভাঙ্গন নিয়ে কাজ শুরু করেছি তারই ধারাবাহিকতায় আজ  মাননীয় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মহোদয় নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছে। মন্ত্রী মহোদয় আমাদের সমস্যা গুলো নোট করে নিয়েছেন আসাকরি খুব দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রাখেন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকলে আমাদের উন্নয়ন হবেই।

73