বাংলাদেশ

সৌদিআরবের সঙ্গে গাইবান্ধায়ও ঈদ উদযাপন

শাহাদত হোসেন মিশুক   গাইবান্ধা

১৬ জুন ২০২৪


| ছবি: প্রতিনিধিঃ

সৌদিআরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে  গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উদযাপন করেছে কয়েকটি গ্রামের কিছু মুসল্লি। দেশের প্রচলিত নিয়মানুসারে এলাকায় একদিন আগেই ঈদ পালন করায় স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা সমালোচনার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। 

আজ রোবরার (১৬ জুন ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জেলার সহিহ হাদিস সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা গ্রামের মধ্যপাড়ার আহলে হাদিস জামে মসজিদের ভেতরে এ ঈদের  নামাজ আদায় করেন।   ঈদের নামাজে ইমামতি ও  খুৎবা পাঠ করেন হাফেজ মশিউর রহমান।

সকাল থেকেই জেলার সদর উপজেলার, পলাশবাড়ী ও  সাদুল্লাপুর উপজেলার  বিভিন্ন এলাকা থেকে হেঁটে,বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল নিয়ে তালুক ঘোড়াবান্ধা মধ্যপাড়ায় জড়ো হতে থাকেন। বাহিরে বৃষ্টির কারণে তারা মসজিদের ভেতরে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার নামাজ আদায় করেন।

ঈদের জামাতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিশুসহ  ২৫-৩০ জন  মুসুল্লি ঈদের নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসুল্লিরা যথা নিয়মে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন।  নামাজ শেষে তারা পশু কুরবানি দেন। 

নামাজে আসা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রুঘুনাথপুর গ্রামের সাদেকুল ইসলাম (৪৫) একই ইউপির দুর্গাপুর গ্রামের আব্বাস আলী আকন্দ (২৩) বলেন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ পড়তেই আজ সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে এখানে আসছি । সবাই মিলে ঈদ-উল-আজহার আদায় করলাম। এভাবেই নয় বছর ধরে ঈদ ও কোরবানি  করে আসছি।

পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রেজওয়ান আকন্দ (২৫) বলেন,  দীর্ঘ নয় বছর ধরে আমার গ্রামে আমি ও আমার পরিবার মিলে সৌদির সাথে মিল রেখে নামাজ আদায় করি। 
একই উপজেলার তালুক ঘোড়াবান্ধা গ্রামের শাহারুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামের ৮-১০ টি পরিবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছি।  তবে আগামিকাল কোরবানি করবো।

পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বলেন, সৌদিআরবের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘদিন থেকে তারা ঈদ উদযাপন করে আসছে। 

এদিকে, একদিন আগে ঈদ পালনে অপ্রীতিকর যে কোনো ঘটনা প্রতিরোধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

71