বাংলাদেশ

রাজিবপুরে অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার 

নিজস্ব প্রতিবেদক   কুড়িগ্রাম

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪


| ছবি: 

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের উপরে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে অনেকেই শহীদ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ শুরু করে রাত্রির মধ্যে তা' সম্পন্ন করে। দ্রুত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা নির্মাণ করে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা ছিল আমাদের প্রথম শহীদ মিনার। 

যে চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে বাঙালিরা রক্ত দিয়ে ২১ ফেব্রয়ারি মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, আজ তা দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত।বিশ্বব্যাপী জাতিগোষ্ঠীর ভাষাগত অধিকার উদযাপন ও ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর ২১ ফেব্রয়ারি আন্তর্জাতিক ভাবে মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে শহীদ মিনার বলতে যারা বাংলা ভাষা আন্দোলনে শহীদ (আত্নত্যাগ) হয়েছেন, তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে যা নির্মাণ করা হয়েছে সেই স্থাপনাগুলোকে বুঝায়। কিন্তু 

কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলায় মোট ৫৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু ৫৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে,বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোন শহীদ মিনার।শহীদ মিনার না থাকার কারণে বিভিন্ন জাতীয় দিবস গুলো পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠান গুলোর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার,যার ফলে ঐসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ২১ ফেব্রুয়ারীর তাৎপর্য সম্পর্কে জানানোর জন্য শিশু ও ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে যেতে হয় রাজিবপুর উপজেলা সদর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শহীদ মিনার নেই এমন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক দের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নেই, যার ফলে আমরা জাতীয় দিবস গুলো পালনে সকল ছাত্র ছাত্রীদের রাজিবপুর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিতে ব্যর্থতায় পড়ছি।যে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই, সেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য প্রশাসনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। 

শহীদ মিনার নাই এ বিষয়ে চর রাজিবপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার হওয়া উচিত। প্রত্যেকটি সরকারি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা শহীদ মিনারের ব্যাপারে তথ্য কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলেই হয়ে যাবে।

29