বাংলাদেশ

উলিপুরে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ,  হাসপাতালে সীমাহীন ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক   কুড়িগ্রাম

০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪


| ছবি: 

কুড়িগ্রামের উলিপুরে নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েই চলছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন অন্তত অর্ধশতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা ৬২ জন। তার মধ্যে ১১ জন শিশু। বিছানা না থাকায় এসব রোগীদের হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দাতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ১৯৮২ সালে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়। পর্যায়ক্রমে এটি ৫০ শয্যায় উন্নিত হয়। প্রতিষ্ঠার ৪১ বছরেও শিশু এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ড নির্মিত হয়নি। তবে হাসপাতালের বারান্দায় ১০টি শয্যায় ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ১০ দিনে শতাধিক নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। শয্যা সংকটে অনেক রোগীকে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী শামীমা বেগম (২৮) ও মিনারা বেগম (৩০) জানান, শয্যা নেই বারান্দার গ্রিলে টাঙানে হয়েছে ছেড়া পলিথিন, দিন-রাত হু-হু করে বাতাস প্রবেশ করে। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইনচার্জ মাহবুবা বেগম জানান, ঠাণ্ডাজনিত কারণে ডায়রিয়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রয়োজনের তুলনায় বেড না থাকায় এত সংখ্যক রোগীকে মেঝেতে বিছানা পেতে দিয়ে সবাইকে চিকিৎসা দিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন তারা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মেহেরুল ইসলাম বলেন, শীতজনিত রোগ বাড়লেও চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে সুরক্ষা থাকতে অভিভাবকদের সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেশকাতুল আবেদ বলেন, হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ধীরে ধীরে ৫০ শয্যায় রুপান্তরিত হলেও কিন্তু ভবন বাড়েনি। যার কারণে এখনও আলাদাভাবে শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড নেই। হাসপাতালে বিশেষ করে শিশু বিশেষজ্ঞ ও গাইনি ডাক্তার নেই। তবুও সীমিত জনবল দিয়েও রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
 

24