বাংলাদেশ

ফুলবাড়ীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত প্রায় ৩৭ হাজার গবাদি পশু, ভারতীয় গরু আসা বন্ধে সীমান্তে বিজিবির টহল জোড়দার

অনিল চন্দ্র রায়,ফুলবাড়ী   কুড়িগ্রাম

০৫ জুন ২০২৪


| ছবি: প্রতিনিধিঃ

আসন্ন ঈদুল আজহায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে  কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৩৬ হাজার ৩৪৮ টি গবাদি পশু। চলতি মাসের ৫ জুন বুধবার থেকে উপজেলার প্রতিটি হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে পশু কেনা-বেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা  প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান কনক। 

তবে খামারিরা আশঙ্কা করছে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করায় অনেকের লোকসান গুণতে হবে। এ জন্য তারা চোরাচালান ঠেকাতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রাখার দাবি জানিয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার ৩৬ কিলোমিটার  সীমান্তবর্তী জুড়ে কঠোর নজরদারির অনুরোধ জানিয়েছেন খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির জন্য উপজেলায় ১ হাজার ৪৩ টি খামারি হাজার ৩৬ হাজার ৩৪৮ টিসহ বিভিন্ন অধিকাংশ পরিবারে পশু লালন পালন করেছেন। উপজেলার চাহিদা মেটানোর পরও ১৪ হাজার ৫৭৮ টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

অধিকাংশ খামারিরা জানান, ভালো দামের আশায় কোরবানির পশু লালনপালন করেছেন তারা। বাজারে গো-খাদ্যের অতিরিক্ত দাম। হাটে ভালো দামে গরু বিক্রি করে হাতে বাড়তি টাকা আসলে নিজেকে সফল মনে হয়। এ ছাড়াফ যদি ভারতীয় গরু সীমান্ত পেরিয়ে দেশে প্রবেশ না করলে বাজার গরুর দাম ভালো পাওয়া যেত। এতে সব খামারিরা লাভবান হবেন। আর দেশীয় খামারিদের রক্ষায় ভারতীয় গরু যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত পেরিয়ে দেশে প্রবেশ না করে এবং গো-খাদ্যের কমানোর দাবি জানিয়েছেন খামারিরা। 
 

বালারহাট এলাকার খামারি নেওয়াজ শরিফ শিমুল জানান, ভালো দামের আশায় কোরবানির পশু লালনপালন করেছি। আগে গো -খাদ্যের দাম কম ছিল লাভ অনেক বেশি হয়েছে। কিন্তু বাজারে গো- খাদ্যের দাম অনেক বেশি। তাই এখন লাভ কম হচ্ছে খামারিদের। এই খামারিকে ভারতীয় গরু আসার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছেন ভারতের গরু টুকটাক আসলেও আমাদের খামারিদের কোন প্রভাব পড়বে না। এ বছর দামও ভালো দেখা যাচ্ছে। তার খামারে মোট গরু ৩৩ টি রয়েছে । এর মধ্যে বড় ষাড় টি ও ছোট ষাড় ৫ টি। বাকিগুলো গাভী ও ছোট ছোট বাছুর। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান কনক জানান, খামারিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। উন্নয়নের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে তারা যেন গরু উৎপাদন করতে পারেন। এবার কোরবানির ঈদে উপজেলায় ১২ হাজার ১৯৭  টি গরু ও মহিষ এবং ২০ হাজার ৩৫০ টি ছাগল ও ভেড়া লালনপালন করা হয়েছে। সর্বমোট প্রাপ্যতা ২৪ হাজার ৫৭৮ টি ও চাহিদা ২১ হাজার ৭৭০ টি ও উদ্বৃত্ত আছে ১৪ হাজার ৫৭৮ টি বলে জানান প্রাণিসম্পদ বিভাগের এ কর্মকর্তা। 
 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, এ উপজেলার পশুরহাটগুলোতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। সেই সাথে পাঁচারকারীরা যাতে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবিকে জানানো হয়েছে। বিজিবি সীমান্তে টহল জোড়দার অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। 

19