বাংলাদেশ

টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে দেবীগঞ্জে আলু বীজ উৎপাদন

নিজস্ব প্রতিবেদক   পঞ্চগড়

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪


| ছবি: 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় নেট হাউজের মাধ্যমে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে আলু বীজ উৎপাদন হচ্ছে। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে দেবীগঞ্জ সীড কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড এই আলু উৎপাদন করছে। চাষীরা সম্পূর্ণ ভাইরাস মুক্ত আলুর বীজ পাচ্ছে। জানাগেছে, উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়নের সবুজ পাড়া এলাকার সুমন ও ইব্রাহীমের বেসরকারি বীজ উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান দেবীগঞ্জ সীড কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড ৫ বছর আগে তাদের নিজস্ব ল্যাবে প্রথমে এই বীজ উৎপাদন শুরু করে। প্রথম বছরেই সাফল্য পেয়ে যায়। এর পর আর ফিরে তাকাতে হয় নি। এখন কোম্পানি টি নিজ উদ্যোগেই ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে বারি ৮৬ ও কারেজ আগাম জাতের বীজ উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। এই বীজ উৎপাদনের ফলে পঞ্চগড় জেলা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় টিস্যু কালচার পদ্ধতির উৎপাদিত বীজ আলু সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে চাষীরা ভাইরাস মুক্ত আলু বীজ বপন করে উপকৃত হচ্ছে। দেবীগঞ্জ সীড কোম্পানী (প্রাঃ) লিমিটেড এর পরিচালক সুমন ইসলাম বলেন, ২০১৯ সাল থেকে নিজস্ব টিস্যু ক্যালচার ল্যাব থেকে চারা উৎপাদন করে বানিজ্যিক ভাবে আলুর বীজ উৎপাদন কাজ করে আসছে তার প্রতিষ্ঠান। এবারে সবথেকে আগাম জাত বারি-৮৬ ও কারেজ আলু বীজ উৎপাদন করেছি, এই আলুর বীজ সঠিক প্রকৃয়ায় চাষাবাদ করলে বিঘা প্রতি ১২০ -১৪০ মণ আলু পাওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি। এই বীজ চাষীদের মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলাসহ উত্তরবঙ্গের অনেক জেলায় সরবরাহ দেওয়া হয়। এতে করে চাষীরা সম্পূর্ণ ভাইরাস মুক্ত আলু বীজ বপন করলে লাভবান হবে।

ইব্রাহিম ইসলাম বলেন, আগে চাষীরা নিজেদের উৎপাদিত আলু কোল্ড ষ্টোরে রেখে সেই আলু দিয়ে আলুবীজ হিসাবে জমিতে রোপন করত। ঐ বীজ থেকে আলু নানা রোগ বালাই হত। ক্ষেতে ভাইরাস লেগে আলুগাছ মরে যেত। চাষী ক্ষতিগ্রস্থ হত। চাষীদের কথা চিন্তা করে উন্নত প্রযুক্তি টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে আলু বীজ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, দেবীগঞ্জ সীড কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেড টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে আলুবীজ উৎপাদন করছে তা প্রশাংসার দাবিদার। এলাকার চাষীরা রোগ বালাই মুক্ত আলু বীজ পাবে এবং বীজের গাছ প্রতি গড়ে ৩৭-৩৮ টি বীজ এসেছে সেই অনুপাতে প্রতি ৩৩ শতকে ফলন আসবে ১২০ -১৪০ মণ।

29