বাংলাদেশ

ফুলবাড়ীতে কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা, আলু ৬০ কেজি যাওয়ায় চরম বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

অনিল চন্দ্র রায়,ফুলবাড়ী   কুড়িগ্রাম

১১ মে ২০২৪


| ছবি: প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা ও আলুর কেজি ৫০-৬০ টাকাসহ সব ধরণের সবজির দাম হুহু করে  বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার হাটবাজার গুলোতে মরিচ আলুসহ সকল প্রকার সবজির দাম দফা দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম আকাশ চুম্মি  হওয়ায় বিশেষ করে এ অঞ্চলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে কাঁচা মরিচ ও আলু কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে কাঁচা মরিচ ও আলু যেন সোনার হরিণে পরিনিত হয়েছে। 

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক দুই সপ্তাহে আগেও ফুলবাড়ী, বালারহাট ও খরিবাড়ীহাটসহ অধিকাংশ হাট-বাজার গুলোতে কেজি কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা ও আলু ৪০ থেকে ৪৫ দরে বিক্রি হয়েছে।

 

কিন্তু গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের কেজি ১২০ টাকা ও আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কাঁচামরিচ ও আলুর দামের সাথে করলা ৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা,পটল ৫০ টাকা, ঝিয়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকা, জালি কুমড়া পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, পিয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, আধা ২৬০ টাকা,  সজিনা ৬০,  টমেটো ৩০ টাকা,  শর্শার কেজি ২০ টাকা ও বড়বটি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষজন। কাঁচা মরিচ ও আলুসহ সকল ধরণের সবজির দাম দ্বিগুন বেড়ে যাওয়ায় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন।  

 

উপজেলার কুরুষাফেরুষা গ্রামের দিন মজুর কাসেম আলী ও পূর্বফুলমতি এলাকার নজরুল ইসলাম জানান, বালারহাট বাজারে কাঁচা মরিচের ১২০ টাকা ও আলুর কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ কিভাবে মরিচ ও আলু কিনবো। এভাবে দাম বৃদ্ধি পেলে আমাদের পক্ষে কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। শুধু মরিচ -আলু না বাজারে পটল, করলাসহ সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।। জীবন বাঁচার তাগিতে একটু একটু করে ক্রয় করতে হয়। এই দুই দিন মজুর আরও জানান, মরিচ আলুসহ এ সব সবজির দাম না কমলে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে জীবন-যাপন করতে হবে।

 

নাওডাঙ্গা এলাকার নির্মল চন্দ্র রায় ও সণ্জু মিয়া জানান, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার। ধান চাষের উপর নির্ভরশীল। এক দিকে দ্রব্যমূল্যের দাম উর্ধমূখী আবার সবজির বাজারও আগুন। এভাবে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের অবস্থা করুন পরিনিতি হবে। 

 

বালারহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা  দিলীপ চন্দ্র দেবনাথ ও হেলাল মিয়াসহ অনেকেই জানান, বাজারে কাঁচামরিচের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। এই মরিচ গুলো দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে। অতি খরার কারণে মরিচের ফলন কমে যাচ্ছে। তারপরেও সল্প পরিসরে আসছে । আমরা প্রতিকেজি মরিচ ক্রয় করছি ১০০ টাকা আর বিক্রি করছি ১২০ টাকা। আমদানি কম থাকা মরিচ, আলুসহ সব ধণের সবজির দাম বেড়েছে। আমদানী বৃদ্ধি পেলে দাম কমে যাবে বলে জানান এই খুচরা ব্যবসায়ীরা।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম জানান, সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন গুরুত্বসহকারে কাজ করছে। কোন ব্যবসায়ী কাঁচা মরিচ ও আলুসহ বিভিন্ন সবজির কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

49