বাংলাদেশ

গাইবান্ধায় সাঁওতাল-বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব

শাহাদত হোসেন মিশুক   গাইবান্ধা

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪


| ছবি: 

এই ভূমির মানুষের সুকৃতি, আদিবাসী-বাঙালি সংস্কৃতি এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গাইবান্ধায় সাঁওতালসহ সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় সাঁওতাল-বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা উন্মুক্ত মঞ্চে গাইবান্ধা নাগরিক সংগঠন ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অবলম্বনের আয়োজনে এসব অনষ্ঠিত হয়। প্রথমে বর্ণাঢ্য একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি গাইবান্ধা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে আবার ওই স্থানের গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা ও বাঙালিসহ বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করে। 
জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাজহারউল মান্নান, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, নারী নেত্রী অঞ্জলী রানী দেবী, নাজমা বেগম, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোর্শেদ দীপন, শিক্ষক আহাদুজ্জামান রিমু, অবলম্বন এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এ.কে.এম. মাহবুব আলম মুকুল, সাঁওতাল নেত্রী মারিয়া মুর্মু, তেরেসা সরেন, ইয়ুথ নেতা সান্তনা রবিদাস প্রমুখ। 
বক্তারা বলেন, সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মাতৃভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাদের সংস্কৃতিও বিলুপ্ত হচ্ছে। এরা বাংলাদেশের দরিদ্রতম প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। অধিকাংশই ভূমিহীন। আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবিলম্বে সরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। অবিলম্বে আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে হলেও আদিবাসী ও তাদের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এটি আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক যে, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় রয়েছে অনেক গীত, ঝুমুর, গল্প, যা কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে। এই সকল ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ জরুরি। না হলে ভাষাগুলো গবেষণা ও পরিচর্যার অভাবে হারিয়ে যাবে। শতাধিক সাঁওতাল-উড়াওঁ সহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর  নারী-পুরুষরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

18