বাংলাদেশ

খানাখন্দে ভরা সড়কে বাড়ছে দুর্ভোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক   রংপুর

২০ মার্চ ২০২৪


| ছবি: 

খানাখন্দে ভরা রাস্তা।কার্পেটিং উঠে ছোট বড় গর্তে পরিণত হয়েছে।পিচঢালাই উটে গিয়ে কোথাও কোথাও শুধু মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। ফলে মালবাহী যান চলাচল দূরের কথা  মটরসাইকেল বা বাইসাইকেল চালাতে দূর্ভোগের স্বীকার পথচারী। এই করুন অবস্থা পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগাহ  থেকে ভেন্ডাবাড়ী যাওয়ার পথে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার। সরেজমিনে দেখা যায়, বড়দরগাহ থেকে গুর্জিপাড়া দিয়ে চাতালবাজার, পচারপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার  রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিটুমিন উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে সড়কটি। খানাখন্দের কারণে প্রায়ই  ঘঠছে দূর্ঘটনা। সংকুচিত হয়ে গেছে যাতায়াতের রাস্তা।  ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এলাকাবাসী সূত্রে যানা যায়, দীর্ঘদিন রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে ভোগাচ্ছে তারা।ছোট বড় গর্ত থাকায় অনেকটা হেটে পথ চলতে হয়। দ্রূত যাওয়া আসার কোন ব্যবস্হা না থাকায় কষ্ট করেই যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টি হলেই  পানিতে ঢাকা পড়ে খানাখন্দ।ফলে দূর্ঘটনার আশঙ্কা বেশি থাকে বলে জানন তারা।  সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার ধারে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিদিন  প্রায় ৫০০ মানুষ যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে এই রাস্তা ব্যবহার করে।বড়দরগাহ ইউনিয়ন পরিষদ, গুর্জিপাড়া কলেজ,গুর্জিপাড়া আশরাফুল উলুম  নূরানী কওমি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ,গুর্জিপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, গুর্জিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ অসংখ্য মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই রাস্তা। 
ভ্যানচালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, বড় বড় গাড়ী দিয়ে বালু তুলছে ওইজন্য তাড়াতাড়ি ভাঙি গেইছে।আমি আসি না এই দিক দিয়া। যাওয়ার সময় অন্য রাস্তা দিয়া যাই। জীবন শেষ হয়া যায়। আর কননা এমনি যে দিন আলছে এনা জোড়ে চলে বেশু করি ভাড়া মারমো তা আর হচ্ছে না।  গুর্জিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী সাদ্দাম মিয়া বলেন, অনেকদিন এই রাস্তা এরকম দেখছি। আমরা মালামাল আনতে গিয়ে ভ্যানচালকরা বেশি মালামাল নিতেই চায় না। ভেঙে ভেঙে ভ্যানে আনতে গিয়ে খরচ বেশি পড়ে যায়। অনেক বিপদে আছি কতদিনে এই রাস্তা ভালো হবে জানি না।  ওই এলাকার লালমিয়া বলেন, আর কন না বাহে হামার জীবন বাইর হয়া যায়।রাস্তার যেঙ্কা অবস্থা তাতে আর বাজার ঘাট করবারে ইচ্ছা হয় না। এখন হামরা এনা দ্রুত কোথাও যাবার চাই তা আর হয় না। যতই চেষ্টা করি জোড়ে আর যাওয়া যায় না। মরন দশা হইছে।
পীরগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড  কলেজের ইনস্ট্রাক্টর বাংলা আসাদুজ্জামান বলেন,এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন এমন দেখছি।দিন যত যাচ্ছে পথচারীদের দুর্ভোগ ততই বাড়ছে। এই দুর্ভোগ বিবেচনা করে হলেও দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। 
পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো মশিউর রহমান বলেন,রাস্তাটি মেরামত করার তিন বছর পার হয়েছিল, ওই রাস্তায় ট্রাফিক ভলিউম অনেক বেশি তাই এমন হয়েছে। স্কিমে দিয়েছি অনুমোদন পাইনি পাইলে করে দেবো।

26