বাংলাদেশ

 সাদুল্লাপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ২১ হাজার পশু

খোরশেদ আলম, সাদুল্লাপুর   গাইবান্ধা

০৯ জুন ২০২৪


| ছবি: প্রতিনিধিঃ

ঈদুল আজহার কোরবানি উপলক্ষ্যে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় প্রায় ২১ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আরো ৪ হাজার পশু বাহিরের মানুষের সহায়ক ভূমিকা রাখবে। সম্প্রতি উপজেলার ধাপেরহাট, সাদুল্লাপুরসহ আরও বিভিন্ন হাটে দেখা যায়- কোরবানি পশু কেনা-বেচার চিত্র। এসব হাটে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ, গাভী, ছাগল ও ভেড়া কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। তবে এখনো জমে ওঠেনি এই হাটগুলো। সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সুত্রে জানা যায়, এ বছর কোরবানি উপলক্ষ্যে উপজেলায় ২ হাজার ১৫  খামারে ২০ হাজার ৭১৪ কোরবানিযোগ্য পশু মজদু রয়েছে। এর মধ্যে গরু ৯ হাজার ২৪৪, ও ছাগল-ভেরা ১১ হাজার ৪৭০টি। আর এ উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ১৭ হাজার ১০০ কোরবানি পশু। এছাড়া নিজের উৎপাদিত গরু-ছাগল রয়েছে।    
বর্তমানে সাদুল্লাপুর উপজেলায় নিয়মিত এবং মৌসুমী হাটগুলোতে দেশি-বিদেশি, ছোট-বড় গরু-ছাগল আমদানী ও বেচা-কেনা হচ্ছে। খামারীরা এসব হাটে কোরবানির পশু বিক্রয় শুরু করছেন। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা কোরবানির জন্য গরু-ছাগল ক্রয় করতে হাট-বাজারগুলোতে আসছেন। তবে এখনো জমেনি কেনা-বেচা। ধাপের হাটের বিক্রেতা শামসুল মিয়া বলেন, হাটে আসার সাথেই দালালদের সঙ্গে রফাদফা ছাড়া পশু বিক্রি করা সম্ভব নয়। আর গো-খাদ্যের দামের তুলনায় পশুর দাম আশানুরূপ পাওয়া যাচ্ছে না। সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে উপজেলা তিনটি স্থায়ী ও দুইটি অস্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। ইতোমধ্যে বিক্রয়যোগ্য হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনটি মেডিকেল দল কাজ করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
 

12