বাংলাদেশ

অনন্য দৃষ্টিনন্দন “আলী বাবা থিম পার্ক”

নিজস্ব প্রতিবেদক   গাইবান্ধা

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪


| ছবি: 

প্রেস ফের এর আয়োজনে দুই দিনের সফরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গাইবান্দা সুন্দরঞ্জ আলী বাবা থিম পার্ক, তিস্তা নদীর পাড়ে গড়ে তোলা এই বিনোদন কেন্দ্র এখন ছোট-বড় বয়সী মানুষের বিনোদনের খোড়াক। আবহমান বাংলার অতীত ঐতিহ্য দৃষ্টিনন্দন এই বিনোদন কেন্দ্রকে ঘিরে প্রকৃতি প্রেমীদের ভিড় বেড়েছে নদীর তীরে। আমাদের যাত্রা শুরু হলো লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা থেকে বিকাল ৫ টায় গন্তব্য আলী বাবা থিম পার্ক। আমারা দীর্ঘ ৪ ঘন্টা জার্নি শেষে রাত ৯ টায় পৌছায় গেলাম আলী বাবা থিম পার্কে এটি রংপুর শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়ন। এর খুব কাছাকাছি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা। সেখান থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে মীরগঞ্জ-চেতন্য-ইমামগঞ্জ বাজার হয়ে সোজা উত্তর দিকে গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার সম্মিলন স্থানে দাঁড়িয়ে আছে এক নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশে ‘আলী বাবা থিম পার্ক’। ‘আলী বাবা থিম পার্ক’  তিস্তা নদীর তীরে ধু-ধু বালুচরে ৩০ একর জমির উপর চমৎকার এক নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশে নির্মিত হয়েছে আলী বাবা থিম পার্কটি। পার্কের প্রবেশপথ পার হতেই নজর কাড়বে মহান আল্লাহ তায়ালার ৯৯ নাম খচিত নির্মাণাধীন ২০ মিটার উঁচু ভাস্কর্য।

দর্শনার্থীদের বসার জন্য রয়েছে সিমেন্ট দিয়ে গাছের আদলে তৈরি করা বসার চেয়ার, রয়েছে বেঞ্চ। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে নয়নাভিরাম রাস্তা। সমুদ্রের বড় মাছের খাদ্যসংস্থান কিভাবে হয় ও আগ্নেগিরির গলিত লাভা এবং বড় বড় সাপ কিভাবে মানুষকে দংশন করতে পারে তাও দেখা যাবে। হাটতে হাটতে পার্কের উত্তরে গেলে নজরে পড়বে নির্মাণাধীন পাহাড়, পানির উপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা, পানির ঢেউ। রয়েছে পিকনিক স্পট ও রিসোর্ট সেন্টার। শিল্পীর রঙ তুলিতে আঁকা ছবির মতোই যেন এখানকার আকাশ। রঙিন মেঘ আর নদীর রুপ অসাধারণ। নদীর কোল ঘেঁষে বাঁধের মতো সড়ক ধরে হাটতে হাটতে হারিয়ে যেতে মন চাইবে। কিন্তু এখানে হারিয়ে যাওয়া মানা। আর সন্ধ্যালগ্নে লাবণ্য লুকিয়ে মেঘের রঙ পরিবর্তনও বিমোহিত করে প্রকৃতি প্রেমীদের। শেষ বেলায় পুরো পার্কে ঘরে দেখলাম এবং হাটতে হাটতে নিজের প্রয়োজনীয় হালকা একটু কোনাকাটা সেরে নিলাম বাইরে। তবে পার্কের ভিতরে আমাদের তেমন কোন দোকান চোখে পরলো না। রাতে মাইক্রবাসে বাসার দিকে রহনা দিলাম।

21